শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি রেজুলেশন উত্থাপন করা হয়েছে। সেখানে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) জাতিসংঘে রেজুলেশনটি উত্থাপন করে ভোটাভুটি হয়।
বুধবার (২৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ বরাবরই প্রতিবেশী দেশগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে মানবাধিকার কাউন্সিলে সমর্থন দেওয়া তারই বহিঃপ্রকাশ।
কাউন্সিলের ৪৭ সদস্য এর পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেয়। রেজুলেশটির পক্ষে ভোট পড়ে ২২টি, আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১১টি। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ১৪টি দেশ।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া রেজুলেশনটির পক্ষে ভোট দেয়। দক্ষিণ এশিয়ার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের তিনটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার পক্ষে তথা রেজুলেশনের বিপক্ষে ভোট দেয়। অন্যদিকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে দুই সদস্য রাষ্ট্র ভারত ও নেপাল।
মূলত যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডাসহ ইউরোপের আরও ৭টি দেশ শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রেজুলেশনটি জাতিসংঘে উপস্থাপন করে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। সফরে তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বৈঠকের যৌথ বিবৃতি নিয়ে পরদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, বৈঠকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে চলমান সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।