অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। টিকা নেওয়ার পর গ্রহীতাদের শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই শুক্রবার (১৯ মার্চ) এই টিকার প্রথম ডোজ নেন তিনি। এর আগে গত বুধবার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে যতো শিগগির সম্ভব টিকা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার বিষয়টি শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিশ্চিত করেছেন বরিস জনসন। এছাড়া তার দফতরও এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। টিকা নেওয়ার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো সম্পর্ক নেই; মানুষকে এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন ৫৬ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
টিকা নেওয়ার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, ‘এইমাত্র অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করলাম। অবিশ্বাস্য এই ব্যাপারটি বাস্তবে রূপ দেওয়ায় বিজ্ঞানী, এনএইচএস স্টাফ ও স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ। সবাই টিকা নিয়ে নেন।’
এর আগে টিকা নেওয়ার পর গ্রহীতাদের শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগের কারণে বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশ টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করার প্রেক্ষিতে মানুষের ভীতি কাটাতে গত বুধবার পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা নেওয়ার ঘোষণা দেন ব্রিটেনের এই প্রধানমন্ত্রী।
সেসময় তিনি বলেন, ‘আমি খুব শিগগিরই করোনার টিকা নেবো। এটা নিশ্চিতভাবেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা হবে। টিকা নেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।’
এছাড়া টাইমস সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক লেখায় জনসন বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং খুবই ভালো কাজ করে। এর পাশাপাশি সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে একই কথা বলেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ও দেশটির ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জনাথন ভ্যান-টামও।
সেসময় টিকা নেওয়া নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে না থেকে নীতিনির্ধারকদের কথা শুনতে এবং একইসঙ্গে যত শিগগির সম্ভব সুযোগ পেলেই টিকা নিয়ে নিতে মানুষের প্রতি আহ্বানও জানান হ্যানকক।
ব্রিটেন এখন পর্যন্ত আড়াই কোটিরও বেশি মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা নিয়েছেন এক কোটি ১০ লাখ মানুষ।
সূত্র: সিএনবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া