spot_img

বেশি খাওয়ার প্রবণতা বন্ধ করার উপায়

অবশ্যই পরুন

কাজের চাপ কিংবা সারাদিনের ব্যস্ততায় নিজের মনের মতো খাবারটি ঘরে তৈরি করে খাওয়ার সুযোগ কম মানুষেরই হয়। এদিকে হোম ডেলিভারির সুবিধা রয়েছে বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টেরই। অনেকে আবার ঘরে তৈরি খাবার বিক্রি করেন অনলাইনে। তাই নিজে তৈরি না করেও পছন্দের খাবারটি খেতে এখন আর তেমন কষ্ট করতে হয় না। শুধু অনলাইনে ঢুকে অর্ডার করা আর হাতে পাওয়ার পরে বিল পরিশোধ করে দেওয়া- এটুকুই।

এমন অনেকেই আছেন, যারা বাড়িতে থাকলে খালি মুখে থাকতে পারেন না। সারাক্ষণ তাদের মুখ চলতে থাকে অর্থাৎ কিছু না কিছু খেতে থাকেন। তিনবেলা পেটপুরে খাওয়া তো রয়েছেই, পাশাপাশি নাস্তা হিসেবে এটা সেটা খাওয়ার অভ্যাস চলতে থাকে। ঘরে তৈরি হোক কিংবা বাইরে থেকে কিনে আনা, নানা মুখরোচক খাবার খেলেই যেন মেলে শান্তি। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার এই অভ্যাস নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর। এ তথ্য প্রায় সবারই জানা। কিন্তু জেনেও আমরা এ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারি না। আপনি যদি সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে চান তবে বের হয়ে আসতে হবে এই ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে। জেনে নিন এই অভ্যাস বাদ দেওয়ার কিছু উপায়-

ছোট থালায় খাবার খান

খাবারের জন্য ছোট থালা ব্যবহার করুন। ছোট থালা কম খাবার নিলেই ভরে যায়। যে কারণে মনে হবে অনেক খাবার খেয়ে ফেলেছেন। অপরদিকে বড় থালায় বেশি খাবার নিলেও কম মনে হয়। তাই বেশি খেলেও অনেক সময় মনে হয়, তেমন কিছু খাওয়া হয়নি। তাই ছোট থালায় খাবার খেলে অল্প খাবারেই পেট ভরে যাবে।

অল্প করে খান

যে থালায়ই খাবার খান না কেন, চেষ্টা করুন অল্প করে খেতে। দিনের মধ্যে তিনবেলা ভাত না খেয়ে অন্তত একবেলা রুটি খান। এতে নিজেকে কিছুটা ঝরঝরে লাগবে। তিনবেলার মূল খাবারে সালাদ রাখুন। হতে পারে তা সবজি বা ফলের সালাদ। ভাজাপোড়া স্ন্যাকস না খেয়ে তার পরিবর্তে খান আস্ত ফল বা বাদাম। এতে ক্ষুধা মিটবে, ক্যালোরিও বাড়বে না খুব একটা।

খাবার থেকে দূরে

বাড়িতে বসে কাজ বা পড়াশোনা করার সময় এমন ঘরে থাকুন যেখান থেকে খাবারের ঘর দূরে। কক্ষের দরজা বন্ধ রাখুন। রান্নার আওয়াজ বা খাবারের গন্ধ থেকে দূরে থাকলে কাজে মন দেওয়া সহজ হবে। কাজের ফাঁকে ছোট ছোট বিরতি নিলে সেই সময়টা মুখে কিছু পুরে নেবেন না। বরং অন্য কোনো কাজ করুন। অনলাইনে ব্রাউজ করতে পারেন, পছন্দের কোনো ভিডিও দেখতে পারেন। তবে ভুলেও খাবারের কাছে যাবেন না। একবার অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে কিন্তু সেখান থেকে বের হওয়া সহজ হবে না। কিছুক্ষণ পরপর পানি পানের অভ্যাস করুন। এতে ক্ষুধা কম লাগবে।

মন খারাপ হলে

অনেক সময় মন খারাপ বা হতাশা থাকলে খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে। তাই মন খারাপ হলে এমনকিছু নিয়ে ভাবুন যা আপনার মন ভালো করে দিতে পারে। বন্ধু কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন। পছন্দের বই পড়তে পারেন। খুব বেশি খেতে ইচ্ছা করলে এমন খাবার খান যা আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে কিন্তু ওজন বাড়াবে না। হতে পারে তা শসা কিংবা গাজর, সহজলভ্য কোনো ফল।

সর্বশেষ সংবাদ

মহানবী (সা.) রওজা শরিফ জিয়ারতে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা

এখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ