মিয়ানমারের অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে নিরীহ বেসামরিক মানুষদের নির্যাতন এবং হত্যার জন্য ‘ক্ষুদ্র একটি সশস্ত্র গ্রুপকে’ অভিযুক্ত করেছে তারা।
আজ (বুধবার) সরকার নিযুক্ত এই অ্যাসোসিয়েশনের এক খসড়া বিবৃতিতে সেনা নিপীড়নের সরাসরি নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে চায়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিয়মিতভাবেই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হচ্ছে সরকারি বাহিনী। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। গত রবিবার একদিনেই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে সরকারি বাহিনী গুলি চালালে ৫০ জনের মতো নিহত হয়। সোমবার নিহত হয় আরও ২০ জন। মঙ্গলবার অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ১৮৩ নিহত হয়েছে।
মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের অ্যাসোসিয়েশন দ্য স্টেট সংঘ মহা নায়ক কমিটি জানিয়েছে বৃহস্পতিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।
মিয়ানমারে বৌদ্ধ সন্নাসীদের অ্যাকটিভিজমের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ২০০৭ সালে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ‘গেরুয়া বিপ্লবের’ সামনের কাতারে ছিলেন সন্ন্যাসীরা। ওই বিপ্লব দমন করা হলেও গণতান্ত্রিক সংস্কারে উত্তরণে সহায়তা করে।
মহা নায়ক কমিটির সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য না করলেও সেনা শাসনের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান শাসক কর্তৃপক্ষ এবং তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা গ্রুপগুলোর মধ্যে ব্যাপক বিরোধের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।