অর্থপাচারে সহযোগিতা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বান্ধবী অবন্তিকাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে অবন্তিকা বড়ালকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আনা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দুদকের উপপরিচালক সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন একটি দল তাকে নিয়ে আসে।
এর আগে গত ৪ মার্চ আদালতে তুলে দুদকের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ডের আবেদন করলে ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ অবন্তিকার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পিকে হালদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২৫ জানুয়ারি তাকে প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় । তখন অবিন্তকা বড়ালের কাছ থেকে ধানমন্ডিতে পিকে হালদারের দেয়া একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের তথ্য পায় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
দুদকের তদন্তে থাকা একটি সূত্রে সেসময় জানানো হয়, ধানমন্ডি দশ নাম্বার রোডের তিন হাজার বর্গফুটের যে ফ্ল্যাট অবন্তিকা থাকতেন সেই ফ্ল্যাটের মূল্য নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন পিকে হালদার।
অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তারের পর পিকে হালদারের বিরুদ্ধে করা পৌনে তিনশ কোটি টাকার অর্জন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ১০ মার্চ প্রশান্ত কুমারের বিরুদ্ধে দশ ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে ১০টি মামলার অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। প্রতিটি মামলাতেই পৃথকভাবে আরও ৩৭ জনকে আসামি করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, পিকে হালদারের আরও ৩৩জন সহযোগীর সম্পদ বিবরণীর দাখিলের নোটিশ জারির অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। শিগগির এদের বিরুদ্ধে এই নোটিশ জারি করা হবে বলেও জানা যায়।
এছাড়া পি কে হালদারের সহযোগী ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেমসহ ৪৫ জনের ইমিগ্রেশন বন্ধ চেয়ে ইমিগ্রেশন অথরিটির কাছে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।