spot_img

অবশেষে মামলা করলেন ওই শিশুর বাবা, শিক্ষক গ্রেপ্তার

অবশ্যই পরুন

হাটহাজারীতে মারকাযুল কুরআন ইসলামিক একাডেমির হেফজ বিভাগের এক শিশু শিক্ষার্থীকে মায়ের কাছে যাওয়ার অপরাধে নির্মমভাবে পিটিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক। নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) থেকে হাজার হাজার মানুষ ওই ভিডিও শেয়ার করেন। এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা গ্রামের মারকাজুল কোরআন ইসলামিক একাডেমিতে অভিযান চালিয়ে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মো. ইয়াহইয়াকে আটক করে পুলিশ। পরে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রের মা বাবার লিখিত অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

পরে বুধবার (১০ মার্চ) হাটহাজারী পৌরসভার কামাল পাড়া পশু হাসপাতালের পাশ থেকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়।

হাটহাজারী থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে নির্যাতনের শিকার শিশু ইয়াসিনের বাবা মোহাম্মদ জয়নাল বাদী হয়ে মামলা দায়ের দায়ের করেছেন। এরপর থানা পুলিশের একটি টিম পৌরসভার কামাল পাড়া এলাকা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার  করে। বর্তমানে তিনি থানা হাজতে রয়েছেন।

গ্রেপ্তার হাফেজ ইয়াহিয়া মারকাজুল কোরআন ইসলামি অ্যাকাডেমি মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাফরভাটা গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মারকাযুল কোরআন ইসলামিক অ্যাকাডেমিতে এই ঘটনায় ঘটে। ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়া হেফজ বিভাগের ছাত্র মো. ইয়াসিন ফরহাদকে বেদড়ক পিটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক ইয়াহিয়া তার ছাত্র ইয়াসিন ফরহাদকে মাদ্রাসার বাইরে থেকে ধরে একটি কক্ষে নিয়ে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান।

ঘটনার পর হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমি থানা পুলিশ সহকারে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে হাফেজ ইয়াহিয়াকে আটক করি। পরে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রের মা বাবার লিখিত অনুরোধে তাকে ছেড়ে দিই।

লিখিত চিঠিতে শিশুটি মা-বাবা উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় ফরহাদকে দেখতে মাদ্রাসায় যাই। দেখা করে চলে আসার সময় ফরহাদ আমাদের পেছনে পেছনে ছুটে আসে। এরপর হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়া এসে ফরহাদকে ধরে নিয়ে যায়। রুমে নিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। এই ঘটনায় আমরা দুই জন খুবই মর্মাহত। এরপরও আমরা আমাদের সন্তানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবো না। তাই আটককৃত শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়ার বিনীত অনুরোধ করছি।

তবে এরপর বুধবার বিকেলে নির্যাতনের শিকার শিশু ইয়াসিনের বাবা মোহাম্মদ জয়নাল বাদী হয়ে মামলা দায়ের দায়ের করেন। এরপরই অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়লো আরও ৬০ দিন

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ