পর্যায়ক্রমে ফ্লাইওভারের নিচের জায়গা দখলমুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১০ মার্চ) সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নগরীর ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন, লক্ষ্মীবাজার এলাকায় খেলার মাঠ উদ্বোধন করেন মেয়র। এর আগে মেয়র মগবাজার চৌরাস্তায় মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নিচের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন ও বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন। পরে তিনি মগবাজার চৌরাস্তা থেকে হেঁটে রমনা থানা পর্যন্ত ঘুরে দেখেন এবং বেশ কয়েকটি জায়গায় দাঁড়িয়ে যানজট নিরসনে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, ফ্লাইওভারের নিচের জায়গাগুলো ব্যাপকভাবে দখল অবস্থায় আছে, অব্যবস্থাপনা আছে, ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর। বিভিন্ন মহল সেগুলো দখল করে বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা করছে। আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমে দখলমুক্ত করব। যেন যান চলাচল করতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা করব এবং খোলামেলা পরিবেশ থাকে, সে ব্যবস্থা আমরা করব।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আজ থেকে আমরা নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চৌরাস্তাগুলোতে আমাদের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাচ্ছি, আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া নিয়েছি। আজ মগবাজার চৌরাস্তা থেকে আমরা এই কার্যক্রম শুরু করলাম।
খেলার মাঠ প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা এরইমধ্যে ৭, ১৩, ২৭ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে জায়গা চিহ্নিত করেছি। সেখানে আমরা সন্তানদের জন্য উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠের ব্যবস্থা করব।
বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত হচ্ছে, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেই সঙ্গে খালগুলোর পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মশক নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। আগের তুলনায় মশা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগামীতে ডিএসসিসি এলাকায় ইনশাআল্লাহ্ মশা আরও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
মাঠ উদ্বোধনের পর মেয়র মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চলমান রাস্তা নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেন এবং এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তা আগামী ২২ তারিখের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুন্সী মোহাম্মদ আবুল হাসেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।