আফগানিস্তান ইস্যুতে সব বিকল্পই খোলা আছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় রোববার (৭ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্র দফতর একথা জানায়। একইসঙ্গে মে মাসের প্রথম দিন থেকে দেশটিতে সেনা রাখা না রাখার বিষয়ে ওয়াশিংটন এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানানো হয়।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে জরুরি ভিত্তিতে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কূটনীতিক ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন উদ্যোগ নিয়েছেন; এমন কথা সামনে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই কথা জানাল। এছাড়া মে মাসের ১ তারিখের মধ্যে ব্লিনকেন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির কাছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ এই কূটনীতিক দাবি করেছেন, ‘হাতে থাকা আরও কিছু বিকল্প (অপশন) সুযোগ বিবেচনায় থাকায় আগামী মে মাসের ১ তারিখের মধ্যে আফগানিস্তানে মোতায়েন থাকা সকল মার্কিন সেনাকে ফিরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে ওয়াশিংটন।’
চিঠিটি আফগান সংবাদমাধ্যম তলোনিউজে প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও এই চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে রোববার ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘মে মাসের ১ তারিখের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে নাকি রেখ দেওয়া হবে- এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আফগানিস্তান ইস্যুতে সকল বিকল্পই খোলা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
ব্লিনকেনের ওই চিঠি অনুযায়ী, উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে আফগান সংকটের সমাধান এবং আফগান সরকার-তালেবান বিদ্রোহীদের মধ্যে স্থায়ী ও কার্যকর অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সমন্বিতভাবে আফগান শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান, ইরান, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিনিধিদের একত্রিত করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বানও জানানো হয় চিঠিতে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, শান্তি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বানও জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া নতুন করে হামলা-সহিংসতা রুখতে আপাতত ৯০ দিনের অস্ত্রবিরতি প্রস্তাবও আনার কথা বলা হয়েছে ব্লিনকেনের চিঠিতে।
সূত্র: রয়টার্স