অবিলম্বে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের শাস্তি পাওয়া উচিৎ বলে দাবি করেছেন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিক জামাল খাশোগির বাগদত্তা হাতিস সেনগিজ। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা রিপোর্টে সৌদি প্রিন্সের হত্যার অনুমোদনের তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এরপর যুবরাজ সালমানের অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিৎ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের
সোমবার (১ মার্চ) বিবৃতির মাধ্যমে নিহত সাংবাদিক জামাল খাশোগির টার্কিশ বাগদত্তা বলেন, বিশ্ববাসীর সামনে সত্যটি আরও একবার প্রকাশ হয়েছে, এখন এটা নিশ্চিত। তবে সত্য প্রকাশ যথেষ্ট নয়, যখন ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হবে তখনই এটা অর্থবহ।
গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র খাশোগি হত্যার চার পৃষ্ঠার গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গুরুত্বপূর্ণ ওই রিপোর্টে খাশোগি হত্যায় সৌদির ভবিষ্যৎ বাদশা মোহাম্মদ বিন সালমানের ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে আসে। জামাল খাশোগি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক ছিলেন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। তিনি সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক ছিলেন।
শুরু থেকেই হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হয়। সৌদি আরব প্রথমে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও পরে আন্তর্জাতিক চাপে খুনের কথা স্বীকার করে। তবে এখন পর্যন্ত মৃতদেহের সন্ধান দেয়নি সৌদি রাজপরিবার।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি হাতিস সেনগিজ খাশোগি হত্যার ন্যায়বিচার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে মোহাম্মদ বিন সালমানের শাস্তির দাবি জানান। তিনি বলেছিলেন, বাইডেন প্রশাসনের শুরুতে বিশ্বের সকল নেতার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ যে তারা হত্যাকাণ্ডে দোষী ব্যক্তি যার এখনো শাস্তি হয়নি তার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করবে কি না।
এ দিকে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্র সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে টার্গেট করবে না বলে জানিয়েছে। অনেক ডেমোক্রেট নেতা বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সৌদি আরবের প্রতি নতুন নীতি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। তবে সে নীতি কি হবে সেটা এখনো অস্পষ্ট। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, এটা তাৎপর্যপূর্ণ হবে এবং ‘আমেরিকার নীতি’ পরিবর্তন হচ্ছে বলে স্পষ্ট করেছেন।
জো বাইডেন বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আমরা তাদের জবাবদিহি করতে যাচ্ছি। গত শুক্রবার সৌদি বাদশাহের সঙ্গে ফোনালাপে তাকে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।