মার্চে দেশের একাধিক অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি দাবদাহও দেখা দিতে পারে।
সোমবার (১ মার্চ) দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়া পর্যালোচনা ও ফেব্রুয়ারির আবহাওয়া পরিস্থিতি বিশ্লেষণ সম্পর্কিত সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামসুউদ্দিন আহমেদ।
আবহাওয়াবিদ স ম সজীব হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, এ মাসে (মার্চ) দেশের উত্তর উত্তর পশ্চিম ও মধ্য অঞ্চলে এক থেকে দুইদিন বজ্র অথবা শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। দেশের অন্যান্য জায়গায় দুই থেকে তিনদিন বজ্র এবং শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু অর্থাৎ ৩৬ থেকে ৩৮ সেলসিয়াস অথবা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দাবদাহ বয়ে যেতে পারে।
গত মাসের আবহাওয়া পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সারাদেশে ৯৯ দশমিক ১ ভাগ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। মার্চ মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা বৃষ্টিপাত কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্চে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। নদনদীর অবস্থার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করবে। আর কৃষি আবহাওয়ায় মার্চ মাসে দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ মিলিমিটারের মধ্যে থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
তাপমাত্রার তথ্যে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।