‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’- বাংলার ধানে জাতির পিতার প্রতিচ্ছবি। তা দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ার জন্য ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ কর্তৃপক্ষ নির্দেশিত পথে হাঁটছে এর সকল কার্যক্রম।
গেল ৪ ফেব্রুয়ারি শস্যরোপণ শেষ হয়েছে। কিছুদিনের মাঝে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি ফুটে উঠবে ফসলের মাঠে। বগুড়ায় ১০০ বিঘা জমির উপরে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবিও হচ্ছে প্রথমবারের মত।
বগুড়ার শিবগঞ্জের শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রাম। ধানের চারায় বঙ্গবন্ধুর চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য ধান রোপনের কাজ শেষ। এখন শুধু অপেক্ষা ধানের গাছ বড় হওয়ার।
প্রায় প্রতিদিন আকাশ থেকে ছবি নিয়ে দেখা হচ্ছে শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির জন্য রোপন করা ধানের চারার অগ্রগতি। যতো বড় হবে ধানের চারা, বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ততোইস্পস্ট হবে। ফসলের রং বদলে যাওয়ার সাথে সাথে বদলে যাবে প্রতিকৃতির রংও।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ সমন্বয়ক কৃষিবিদ ফয়জুল সিদ্দিকী বলেন,’আমরা এমন একটা ফসলকে চাচ্ছিলাম যেটা জমিতে যেন অন্তত তিন থেকে চার মাস থাকে। আমরা চিন্তা করলাম যে ধান আমাদের দরকার। ধান দিয়ে যদি করতে পারি, মাঠে আমরা ১৪৫ দিন থেকে ১৫০ দিন পর্যন্ত এই চিত্রটাকে ধরে রাখতে পারবো।’
মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এটি বাস্তবায়ন করছে। যা পুরোটাই সমন্বয় করছে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’। ১০০ বিঘা জমিতে এই কাজ শেষ হয়েছে যা ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘শস্যচিত্র’ হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান নিবে বলে আশাবাদী আয়োজকরা।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ সদস্য সচিব কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান,’বঙ্গবন্ধু যিনি আমাদের জাতীর পিতা, তকে যখন আমরা সার পৃথিবীতে শষ্যচিত্রে গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিয়ে যেতে চাই, দল-মত নির্বিশেষে সকলকে একত্রিত করা ছিলো একটা বড় চ্যালেঞ্জ।’
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ আহবায়ক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম জানান,’যখন ধান আসবে তখন জাতীর পিতার মুখোচ্ছবিটা কিন্তু ভিন্নভাবে ধরা দিবে। এই মানুষের মুখোচ্ছবি একেক সময় একেক রং হবে।’
লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক-ইমেজ কিংবা শস্যচিত্রে এটি হবে নতুন রেকর্ড। বর্তমানে রেকর্ডটি চীনের দখলে। চীন থেকে বেগুনি ধান এবং দেশীয় সবুজ ধানের চারা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব দৃশ্যমান করা হবে। অনেক উপর থেকে দেখলে মাঠের মাঝে স্পষ্ট দেখা যাবে জাতির পিতার প্রতিকৃতি।