রোনালদো ম্যাজিকে জয় পেলো জুভেন্টাস। অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ক্রোতোনেকে হারালো ৩-০ গোলে। তুরিনের ওল্ড লেডিদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় আত্মবিশ্বাস ফেরানোর লড়াই ছিলো তুরিনের বুড়িদের। লিগ ইউসিএল মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয়হীন জুভেন্টাস। আন্দ্রে পিরলোর কপালের ভাঁজ ছিলো তাই বেশ চওড়া।
একাদশে তিন পরিবর্তন, সঙ্গে ফর্মেশনটাও ছিলো কিছুটা আক্রমণাত্মক। পিরলোর চাহিদা ছিলো একমাত্র জয়, ক্রোতোনের বিপক্ষে তাই শুরু থেকেই বিধ্বংসী ইতালিয়ান জায়ান্টরা।
কিন্তু, ফরোয়ার্ডদের নিজের মন্ত্র কতটা বুঝাতে পেরেছিলেন পিরলো, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই গেছে। একের পর এক ব্যর্থ আক্রমণে যোগ দেন রামসে, রোনালদো সবাই। অরক্ষিত জালেও বল পাঠাতে গড়িমসি ছিলো তাদের।
অবশেষে, ৩৮ মিনিটে চাবি হাতে সামনে আসেন পর্তুগীজ রাজপুত্র। খুলে যায় ডেডলক। অ্যালেক্স সান্দ্রো’র ক্রস থেকে মাথা ছুঁইয়ে জাল খুঁজে নেন ক্রিস্টিয়ানো। আনন্দে ভাসে ওল্ড লেডিরা।
প্রথম গোলটার স্বীকৃতি পেতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ভিএআরের। তাই হয়তো কিছুটা ক্ষুব্ধ ছিলেন সিআর সেভেন। মিনিট সাতেক বাদেই পুষিয়ে দেন সেটা। বক্সের বাইরে থেকে তার জোরালো শট আটকে দেন কোরডাজ। তবে, রামসের ক্রসে আইকনিক লাফের হেড আর আটকাতে পারেননি ইতালিয়ান গোলি। দলের সঙ্গে নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
বিরতি থেকে ফিরে আবারো সেই অগোছালো য়্যুভেন্তাস। গোল করার চেয়েও আটকানোতে বেশি সময় দিতে হয় তাদের। এর মাঝে যাও দু একবার পালটা আক্রমণে উঠে পিরলো বাহিনী। সব ভেস্তে যায় ফরোয়ার্ডের নিষ্প্রভতায়।
স্ট্রাইকাররা না পারলেও, পেরেছেন একজন মিডফিল্ডার। ৬৬ মিনিটে কর্ণার থেকে পাওয়া বল, চেস্ট ডাউন করেন ওয়েস্টন ম্যাককেনি। এরপর জটলার মধ্য থেকেই দৃষ্টিনন্দন এক গোলে স্কোরশিটে নাম লেখান এ আমেরিকান।
তিন গোল হজম করবার পর কিছুটা হুঁশ ফিরে পায় ক্রোতোনে। তবে, তাদের আক্রমণগুলো মাথা ঠুকরে পরে বুফনের দেয়ালে। হ্যাটট্রিক পূরণের আপ্রাণ চেষ্টা ছিলো রোনালদোর’ও, কিন্তু ব্যাটে বলে হয়নি ঠিক মতো।
অবশেষে তিন গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে য়্যুভেন্তাস। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে আসলো আন্দ্রে পিরলোর দল।