লিভারপুল যেন নিজভূমে পরবাসী! শেষ ক’বছরে টানা ৬৮ ম্যাচ নিজেদের মাঠে অপরাজিত থাকার পর এবার যেন অ্যানফিল্ডে জিততেই ভুলে গেছে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা, হেরেছে টানা চার ম্যাচে! সর্বশেষ ২-০ হারটা অল রেডদের আরেক অহমে আঘাত হেনেছে। এভারটনের কাছে এই হারটা যে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে চলতি শতাব্দিতে প্রথম!
ঘোর দুঃসময় চলছে লিভারপুলের। বার্নলি, ব্রাইটন আর সিটির কাছে ঘরের মাঠে তিন হারের পর শনিবার রাতেও হারের শঙ্কা চোখরাঙানি দিচ্ছিল অল রেডদের। সে শঙ্কা ক্লপের শিষ্যদের বাস্তবতা হতে সময় নিলো মাত্র ৩ মিনিট। হামেস রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে গোল করে বসেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিশার্লিসন।
এরপরও অবশ্য ম্যাচে ফিরতে পারত লিভারপুল। বক্সের কোনা থেকে অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন একটা চেষ্টা করেছিলেন জোরালো শটে। কিন্তু গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড দেয়াল তুলে দাঁড়িয়েছেন সেবার। এর কিছু পরেই ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ডএর চেষ্টাও ঠেকিয়ে দেন তিনি।
এই এভারটনের বিপক্ষে প্রথম লেগে রক্ষণভাগের নেতা ভার্জিল ফন ডাইককে চোটের কারণে হারিয়েছিল লিভারপুল। দলনেতা হেন্ডারসনকেও হারানোর শঙ্কায় পড়েছে এবার। ম্যাচের ৩০ মিনিটে আবদুলাই দুকুরের কড়া চ্যালেঞ্জে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
লিভারপুল অবশ্য এরপরও লড়ে গেছে দাঁতে দাঁত চেপে। বিরতির পর মোহামেদ সালাহর শট ঠেকিয়েছেন পিকফোর্ড, এর আগে পরেও প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় সমতাসূচক গোলের খোঁজে ত্রাস ছড়িয়েছেন সালাহরা। তবে লাভ হয়নি একটুও। ৮৩ মিনিটে গোল হজম করে হারটা নিশ্চিতই করে বসে অল রেডরা।
ডমিনিক ক্যালভার্ট লুইনের শটটা প্রথমে ঠেকালেও ফিরতি চেষ্টাটা ফেরাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন অ্যালিসন বেকার। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন গিলফি সিগুর্ডসন।
এই হারের ফলে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে লিভারপুলের। ২৫ ম্যাচে সাত ম্যাচ হেরে ৪০ পয়েন্ট পাওয়া দলটি যে আছে ষষ্ঠ স্থানে! এভারটন খেলেছে এক ম্যাচ কম, সমান পয়েন্ট নিয়ে আছে সপ্তম স্থানে।
আর দিনের অন্য ম্যাচে চেলসি ড্র করে চতুর্থ স্থান ধরে রেখেছে কোনোক্রমে, ২৫ ম্যাচে অর্জন করেছে ৪৩ পয়েন্ট। আর শীর্ষে থাকা সিটির পয়েন্ট ২৪ ম্যাচ থেকে ৫৬।