মুমিনুলের টেস্ট ক্যাপ্টেনসির ভাগ্যটা ভাল নয়। লাল বলের স্পেশালিস্ট এই ব্যাটসম্যান টেস্ট ক্যাপ্টেনসির ৬ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছেন একটি। ওই জয়টি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৪টি ম্যাচ ক্যাপ্টেনসির রেকর্ড তার জয়শুন্য। তবে মাঠে টেস্ট ক্যাপ্টেনসিতে মুমিনুলকে উপযুক্ত মনে করছেন তামিম। ‘ ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সে এই কাজের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি। টেস্ট অধিনায়কত্ব সহজ কাজ নয়। ওয়ানডে বলেন, টি-টোয়েন্টি বলেন এটা একটা দিনের খেলা। টেস্ট অধিনায়কত্ব অনেক অনেক কঠিন।’
টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুলের পরিকল্পনা এবং দর্শন দারুণ লেগেছে তামিমের। তিনি বলেন, ‘ ওর যে চিন্তাধারা, ওর যে প্ল্যানিং, ওর যে ফোকাস, ওর যে ফিউচার প্ল্যান…টেস্ট ক্রিকেটকে যেভাবে দেখে। আমার কাছে মনে হয়না এখানে এর চাইতে বেটার কেউ আছে যে নেতৃত্ব দিবে। আই স্ট্রংলি বিলিভ মুমিনুল ইজ দ্য রাইট পারসন।কারও যদি ফোকাসটা থাকে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে, আমাদের টিমে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় এমন কাউকে যদি বলতে হয় মুমিনুল সেখানে উপরের দিকেই থাকবে নিশ্চিতভাবে। সুতরাং আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সে সঠিক ব্যক্তি।’
কম বয়সে অধিনায়ত্ব পেয়েছে বলে ভুল হতে পারে। এবং এই ভুল থেকে শিখবে মুমিনুল, তা মনে করছেন তামিম। তামিমের মতে,’ কটা জিনিস আপনাদের সবার মাথায় রাখতে হবে যে, সে খুবই তরুণ। সে ভুল করতেই পারে, এটা যে কোন অধিনায়কই করে। আর সে এটা থেকে শিখবে। আমি নিশ্চিত সময়ের সাথে সাথে ও স্ট্রেন্থ টু স্ট্রেন্থ হবে, অনেক ভালো কিছু দেখবো সে করছে।’
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন সাকিব ইনজুরিতে পড়ে মাঠে আর ফিরতে না পারায় মাঠে মুমিনুল অভিভাবক হিসেবে অবশিস্ট তিন দিন পেয়েছিলেন মুশফিক,তামিমকে। সেই তামিম ৫ম দিনের শুরুতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে দীর্ঘ সময় কাটানোয় এই সিনিয়রের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় টিপস পাননি।
দলের সিনিয়ররা আসলেই কি সাপোর্ট দিচ্ছেন মুমিনুলকে ? এ প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘আমরাতো অবশ্যই সাপোর্ট দিতে চাই, যখনই আমাদের কিছু বলার থাকে আমরা বলি। ও যেটা ভালো মনে করে ও সেটা নেয়। যেটা মনে করে এখন দরকার নেই সেটা নেয়না। যেটা একজন অধিনায়কের জন্য ভালো দিক। মাঝে মাঝে এমনু হয় যে আমাদের মনে হয় ও যেটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ওটা আমাদের অনুসরণ করা উচিৎ, আমরা সেটা অনুসরণ করি। এটা না যে সিনিয়র হওয়ার কারণে সবসময় ওকে বলতে থাকবো। সময় সময় যখন আমরা অনুভব করি তখনি আমরা পরামর্শ দিই। এবং সে শোনে, এটা না যে করে না। সব কথার শেষ কথা হি ইজ দ্য রাইট ম্যান ফ দ্য জব।’