৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ অনুমোদনের কথা জানানো হয়েছে।
গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেকের পাতা, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র্যাব। ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
পরে ১১ মার্চ এ মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে তাদের আদালতে হাজির করে র্যাব। ১৪ আগস্ট (শুক্রবার) বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় এই আলোচিত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ-উর-রহমান। শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায়ও ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।
পরে অস্ত্র আইনের মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। গত ১২ অক্টোবর সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত রায় ঘোষণা করেন। তাদেরকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (ক) ধারায় ২০ বছর ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে একই সঙ্গে সাজা চলবে। যে কারণে আসামিদের ২০ বছর সাজা খাটতে হবে।