দুদিন আগেই জন্মদিন পালন করেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। শুক্রবার ৩৬ পূর্ণ করেন জুভেন্তাসের পর্তুগিজ তারকা। অর্থ, যশ, খ্যাতি- পৃথিবীর অন্যতম সেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বটির কোনো কিছুর অভাব নেই আজ।
অথচ জন্ম নাও হতে পারত রোনালদো। কারণ তার মা চাননি চতুর্থ সন্তানের জন্ম দিতে। গর্ভপাত করাতে চেয়েছিলেন তিনি।
তবে চিকিৎসক রোনালদোর মার সিদ্ধান্তে রাজি না হওয়ায় জন্ম হয় খুদে রোনালদোর। মাদেইরা থেকে লিসবন, লিসবন থেকে ম্যানচেস্টার, ম্যানচেস্টার থেকে মাদ্রিদ, মাদ্রিদ থেকে তুরিন। সর্বত্রই যার দাপট দেখেছে ফুটবল বিশ্ব।
রোনালদোর মা মারিয়া ডলোরেস আভেইরো আজ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেন। সেদিন গর্ভপাত করালে যে ফুটবল বিশ্ব পেত না এক অবিশ্বাস্য স্ট্রাইকারকে।
৩৬ বছর আগের কথা। জোসে ডেনিস আভেইরো এবং মারিয়া ডলোরেস আভেইরো তিন সন্তানকে নিয়ে পর্তুগালের মাদেইরার এক কামরার ফ্ল্যাটে দিন যাপন করছেন। আর্থিক অসচ্ছলতার সঙ্গে জোসের মাদকাসক্তির জেরে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ডলোরেস। এর মধ্যেই গর্ভে চতুর্থ সন্তান এল, কিন্তু তাকে ভূমিষ্ঠ হতে দিতে চাইছিলেন না ডলোরেস।
চিকিৎসকের কাছে গর্ভপাত করাতে গেলে তিনি বাধা দেন। চতুর্থ সন্তানের জন্ম হয়, যার নাম ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
দারিদ্র কী তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন সি আর সেভেন। তাই আজ অর্থ, যশের চূড়ায় উঠেও মাটিতে পা রেখে চলেন। পরিবারকে সবকিছুর আগে রাখেন।
একমাত্র কঠোর পরিশ্রমই যে সাফল্যের পথ, তার জ্বলন্ত উদাহরণ রোনালদো। ৩৬ বছর বয়সেও সমানে গোল করে চলেছেন তিনি। আরো কত দিন ডিফেন্ডারদের রাতের ঘুম কাড়তে থাকবেন, তা রোনালদোই জানেন।