বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রধান বোলার সাকিব। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয় টেস্টে দারুণ কিছুর স্বপ্ন। ১৭ মাস পর সাকিবের প্রত্যাবর্তন টেস্টে সে স্বপ্নই দেখেছে বাংলাদেশ। দেখেছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম জয়ের স্বপ্ন।
দারুন ব্যাটিংয়ে ৬৮ রানে সাকিব নিজেকে প্রত্যাবর্তন টেস্টেও ধরেছিলেন মেলে। তবে ২য় দিনে ২ স্পেলে ৬ ওভার বোলিংয়ের পর বাঁ পায়ের উরুতে চোট পেয়ে আর মাঠে ফিরতে পারেননি সাকিব। সাকিবের অনুপস্থিতি বাংলাদেশের বোলিং শক্তি কমিয়ে দিয়েছে।তা বলাই বাহুল্য।
মুমিনুলও তার সঙ্গে দ্বিমত করেননি- ‘হ্যাঁ, বলতে পারেন। সাকিব ভাই থাকলে বোলিং অনেক গোছানো হত। যেহেতু সিনিয়র বোলার, সিনিয়র ব্যাটসম্যান, সবাইকে আগলে রাখতে পারত। উনি না থাকায় মিস করেছি, বিশেষ করে বোলিংয়ে।’
মাঝে একবার বাউন্ডারি রোপের বাইরে থেকে স্পিনারদের টিপস দিয়েছেন সাকিব। মাঠে উপস্থিত থাকলে জুনিয়র বোলারদের গাইড করতেন সাকিব। এখানেও সাকিবের অনুপস্থিতি একটা ঘাটতি তৈরি করেছে বলে মনে করছেন মুমিনুল-‘অধিনায়ক হিসেবে উনার সাথে খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। এই প্রথম সুযোগ ছিল। আগে খেললে হয়ত ওভাবে অনুভব করতাম।’
বোলাররা জায়গা মতো বল করতে পারেননি বলে উপলদ্ধি করছেন মুমিনুল-‘ সাকিব ভাই না থাকার পরও স্পিনাররা ভালো করেছে। তাইজুল, নাঈম মিরাজ ভালো করেছে। যে বোলিং অ্যাটাক ছিল ওরা একটু ভালো লেন্থে বল করলে পারলে হতো। ওরা ম্যাচ জেতানোর যোগ্য। আমরা একটু দুর্ভাগা ছিলাম, ভালো জায়গায় বল করতে পারিনি।’