বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন। একটি সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজ্যের মেদিনীপুরের হলদিয়া জেলায় একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। মোদী সেখানে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে নানা কথা বলেছেন।
মোদী বলেন, মমতাদির সরকার যে গরিব মানুষের জন্য একেবারে ভাবে না, তার অন্যতম উদাহরণ হল আয়ুষ্মান যোজনা থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত রাখা। পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত সুবিধা পেতে পারতেন সকলে। কিন্তু এখানকার সরকার বাংলায় কেন্দ্রের প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে দিচ্ছে না। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে সাধারণ মানুষের কল্যাণ আটকে দিচ্ছে যারা, তাদের উদ্দেশ্য সকলের কাছেই পরিষ্কার।
বাংলায় বিজেপির সরকার গঠন হলে কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্প অতি দ্রুত বাংলায় কার্যকর হবে বলে দাবি করে মোদী বলেন, দেশের অন্য কৃষকদের মতো সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন বাংলার কৃষক।
জনসভায় নরেন্দ্র মোদী শুধু মমতার তৃণমূল নয় বাম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও আক্রমণ করে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, গোপন বন্ধুত্ব থেকে সাবধান থাকুন। পর্দার আড়ালে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা চলছে। দিল্লিতে একসঙ্গে বসে রণকৌশল তৈরি করেন এরা। কেরালায় তো বাম-কংগ্রেসের সমঝোতাই রয়েছে, যে পাঁচ বছর তোমরা লুঠপাট চালাও, পাঁচ বছর আমরা চালাব। এখানেও সেই ষড়যন্ত্রে চলছে। এদের সমর্থনে ভোট নষ্ট করলে ধোঁকাবাজির শিকার হবেন আপনারা।
ইচ্ছাকৃতভাবে মমতার সরকার কৃষকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব প্রাপ্য সুবিধা পাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দিল্লির উপকণ্ঠে দু’মাসের বেশি সময় ধরে চলে আসা কৃষক আন্দোলন ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়। তিনি বলেন, ‘ভারতকে বদনাম করতে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতের ভাবমূর্তি নষ্টের পরিকল্পনা চলছে। যারা মা-মাটি-মানুষের কথা বলেন ভারতমাতাকে নিয়ে কোনও আবেগ নেই তাদের। তাই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে দিদির মুখ থেকে একটি কথাও বের হয় না।’
মোদী বলেন, ২০১১ পরিবর্তনের আশায় বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় এনেছিলেন। কিন্তু ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি দিলেও অপশাসন এবং অত্যাচার চালানো ছাড়া দরিদ্র মানুষের জন্য তার সরকার কোনও কাজ করেনি। ২০২১ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বাংলায় সঠিক অর্থে পরিবর্তন আসবে বলে দাবি করেন তিনি।