কলা বললে আমরা সাধারণত হলুদ কলাই বুঝে থাকি। তবে কখনও লাল কলা কেনার কথা ভাবি না। চাহিদা বেশি থাকলেও স্থানীয় বাজারে অপ্রতুল হওয়ায় এই কলার দেখাও খুব একটা মেলে না।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ যাবতীয় সমস্যার সমাধান দেবে এই লাল কলা। কলার জাদুকরী উপকারিতা গুলো না জানলে জেনে নিন?
> প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোনেট ও ভিটামিন সি থাকে লাল কলায়। থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও।
> অনেকেই কিডনির স্টোনে ভুগে থাকেন। এ কলা নিয়মিত খেলে কিডনির পাথর দূর হয়। লাল কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, যা কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না।
> লাল কলায় থাকে তিন ধরনের প্রাকৃতিক সুগার- ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ এবং গ্লুকোজ। শরীরের মধ্যে এই সুগারগুলো খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে যায় এবং প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। ফলে সকালের নাস্তায় লাল কলা খুবই ভালো।
> লাল কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে লাল কলা খাওয়া ভালো। তবে শুধু কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্যই নয়, হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে লাল কলা।
> হার্টের রোগীদের জন্য লাল কলা ডায়েটে রাখা ভালো। লাল কলায় থাকে পটাসিয়াম। যা শরীরকে সোডিয়ামের খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি রক্তচাপও কমায়।
> ভিটামিন এ থাকে বলে চোখের জন্য লাল কলা খুবই ভালো।
> লাল কলায় রয়েছে ভিটামিন বি-৬। যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। ফলে যারা রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য লাল কলা খাওয়া জরুরি।