রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করার জন্য সবচেয়ে পরিচিত ৪৪ বছর বয়সী আলেক্সি নাভালনি। রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাশিয়ার একশর বেশি শহরে নাভালনির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়। এদিন পাঁচ হাজার তিনশর বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয় বলে জানায় পর্যবেক্ষক সংস্থা ওভিডি ইনফো।
গত আগস্টে পুতিন ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি তাকে বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ নাভালনির। জার্মানিতে প্রায় পাঁচ মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলে গত ১৭ জানুয়ারি মস্কো বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাভালনির মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিরোধী পক্ষের সমাবেশ থেকে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, সে হিসেব রাখে ওভিডি। এই সংস্থার হিসেবে মস্কো থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন ও সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে আটক করা হয়। ওভিডি বলছে, ৩১ শহর থেকে সর্বোচ্চ ৯০ জনের মতো সাংবাদিককে আটক করা হয়। ৫০ জনের বেশি আটক বিক্ষোভকারীদের মারধর করা হয় বলেও জানায় সংস্থাটি।
ওভিডি সংস্থা ৯ বছর আগে কার্যক্রম শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে রোববারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে আটক করা হয় বলে জানায় তারা। এর আগের সপ্তাহান্তে প্রায় চার হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিক্ষোভ আয়োজনের অনুমোদন না থাকায় আটক ব্যক্তিদের জরিমানা কিংবা কারাদণ্ড হতে পারে। রোববারের বিক্ষোভে অনেক গুণ্ডা ও উসকানিদাতা অংশ নিয়েছে বলে সোমবার দাবি করেন ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র। তাদের সঙ্গে আলোচনা অসম্ভব বলে জানান তিনি।
নাভালনির জেল হতে পারে
২০১৪ সালে এক মামলায় নাভালনির বিরুদ্ধে সাসপেন্ডেড রায় দেয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সেটিকে বাস্তবে পরিণত করার আবেদন করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সেই আবেদনের ওপর রায় দেয়া হবে। তবে জেনারেল প্রসিকিউটরস অফিস জানায়, তারা জেল কর্তৃপক্ষের আবেদন সমর্থন করছে। ফলে নাভালনির আড়াই বছরের জেল হতে পারে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে