সাধারণত অতিরিক্ত অ্যাসিড থেকে পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা হয়। সঙ্গে থাকে পেট ফোলাভাব বা ফাঁপা ও হজম জনিত সমস্যা। এই সমস্যা দূর করতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা জরুরি।
এক নজরে দেখে নিন যেসব খাবার আপনার গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে-
দই : দই উপকারি ব্যাক্টেরিয়ার ভালো উৎস এবং এটা হজমে সহায়তা করে। পানির সঙ্গে দই মিশিয়ে পানীয় তৈরি করতে পারেন। এতে ভাজা জিরা ও বিট লবণ মিশিয়ে স্বাদ বাড়াতে পারেন।
ভেষজ চা : ভেষজ চা নানান ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছ পাতা দিয়ে তৈরি। এগুলো শক্তিশালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ। ভেষজ চা হজমে সাহায্য করে ও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমায়।
মৌরি বীজ : গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে উপকারী।এতে আছে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ যৌগ যা গ্যাস্ট্রিকের রস নিঃসরণে সহায়তা করে, খাবার হজমে সহায়তা করে, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ দূর করতে সহায়তা করে।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার : অন্ত্রে অ্যাসিডিক মাইক্রোন পরিবেশ তৈরি করে এবং হজমে সহায়ক এনজাইমকেও সক্রিয় করে। এটা এইভাবে হজমে সহায়তা করে, ব্যথা কমায়, গ্যাস্ট্রিকের নানান সমস্যা যেমন- পেট ব্যথা ও পেট ফোলাভাব কমায়।
লবঙ্গ : পেট ফোলাভাব, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির জন্য লবঙ্গ ব্যবহার করা হয় প্রাচীনকাল থেকেই। লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়া বা খাবারের পরে এলাচের সঙ্গে লবঙ্গের গুঁড়া মিশিয়ে এক কাপ চা পান অ্যাসিডিটি কমায় ও অতিরিক্ত গ্যাস দূর করতে সহায়তা করে।
উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ খাবার : উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বাদাম, বীজ, সবজি, বেরি ও সবুজ শাক সবজি হজম ক্রিয়া উন্নত করে ও গ্যাসট্রিকের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
কলা : এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা এসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে একটি বাফার বা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
তুলসি পাতা : তুলসি পাতা পাকস্থলিতে শ্লেষ্মার মতো পদার্থ উৎপাদন বাড়াতে উদ্দীপনা যোগায়। এর রয়েছে শীতলীকরন এবং বায়ুনাশক উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক এসিডের কার্যকারিতা কমাতে সহায়ক।
দারুচিনি : বেশিরভাগ হজমজনতি সমস্যার ওষুধ দারুচিনি। এতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় এবং শোষণক্রিয়াকে শক্তিশালি করে।
পুদিনা পাতা : এসিড নিঃসরণের গতি কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায় পুদিনা পাতা। এই পাতার একটি শীতলীকরণ প্রভাবও আছে। যা এসিড রিফ্লাক্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমায়।
এলাচ : এলাচ হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং পাকস্থলির খিঁচুনি দূর করতে সহায়ক। এটি অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের হার দূর করে।