যে দেশটি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বিশ্বের কাছে মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিল, সেই পর্তুগালই আজ করোনা মোকাবেলায় ধুকছে। প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা। প্রায় ১ কোটি জনগণের দেশ পর্তুগালে ইতোমধ্যেই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজারের ওপরে। এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের হার এই দেশটিতে।
হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সগুলোর দীর্ঘলাইন, কিছু কিছু হাসপাতালে মারাত্মক অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিছে। বিপুল সংখ্যক লোক আইসিইউতে থাকায় পর্যাপ্ত ভেন্টেলেটরের সংকুলান হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোয় রক্তের সঙ্কট মোকাবেলায় দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদানের ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
পর্তুগালের বৃহত্তম দৈনিক সংবাদপত্র পাব্লিকোর পরিচালক ম্যানুয়েল কারভালহো বলেন, প্রধান হাসপাতালগুলোয় অসুস্থ মানুষের ভীড় ক্রমশই বাড়ছে। ডাক্তার আর নার্সদের মধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত। এমতাবস্তায় সমস্ত মানুষের যত্ন নেয়া ক্রমশ অসম্ভব হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি সত্যই ভয়াভহ এবং উন্নতির কোনো লক্ষণও নেই। বাধ্য হয়ে অবসরপ্রাপ্ত নার্স ও ডাক্তারদেরকে কাজে যোগদানে আহ্বান করা হয়েছে ।
এ অবস্থায় পর্তুগাল সরকার আগে থেকেই চলমান জরুরি অবস্থা আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। স্কুলগুলো ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বর্ডার নিয়ন্ত্রণে এসেছে কড়াকড়ি। পর্তুগিজ নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশের বাইরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র পর্তুগিজ নাগরিক এবং রেসিডেন্ট হোল্ডাররা দেশে আসতে পারবেন। স্পেনের সাথে পানিপথ ও রেলপথ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।