গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকের পর অভিনন্দন জানানো বিশ্বনেতাদের মধ্যে প্রথম কাতারে ছিলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইল দেশটি। গত বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মার্কিনিদের কাছে সাহায্যের এ আকুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী।
তার কথায়, আমরা অতীতে একসঙ্গে কাজ করে অনেক কিছু অর্জন করেছি। বর্তমান ভ‚-রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে এই সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট শপথ নেওয়ার পরপরই টুইটারে ইমরান বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অভিষেকের জন্য অভিনন্দন। বাণিজ্যিক-অর্থনৈতিক চুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক এবং এর বাইরে উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী পাক-মার্কিন অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করার অপেক্ষায় থাকলাম।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মুখেও অনেকটা একই কথা শোনা গেছে। তিনি বলেছেন, আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বহুমুখী, টেকসই ও পরস্পরের জন্য উপকারী করতে এবং এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার আশায় আছি। জাহিদ হাফিজ চৌধুরী জানান, গত এক বছরে আফগানিস্তানের শান্তিপ্রক্রিয়ায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন-তালেবান চুক্তি, আন্তঃআফগান শান্তি আলোচনা শুরু এবং আলোচনার জন্য নিয়ম-নীতির বিষয়ে সমঝোতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি।
ভারত অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানি এ কর্মকর্তা বলেন, তার দেশ কাশ্মীর অঞ্চলে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরা অব্যাহত রাখবে। এসময় তিনি কাশ্মীরে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং স্থানীয়দের অধিকারক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রতি আবারও আহবান জানান। সূত্র : ডন।