spot_img

ঢাকা-করাচি সরাসরি যোগাযোগ চায় পাকিস্তান

অবশ্যই পরুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য উন্নয়নে ঢাকা-করাচি পণ্য পরিবহনে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর অনুরোধ জানিয়েছে পাকিস্তান।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী এক মতবিনিময়ে মিলিত হন। সেখানে তিনি এই অনুরোধ জানান। বাণিজ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই মতবিনিময়টি হয়।

বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু নেই। পণ্য পরিবহণে সমুদ্র পথে হলে করাচি থেকে সিঙ্গাপুর-কলম্বো হয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে পৌঁছাতে হয়। একইভাবে আকাশপথেও অন্য দেশে ট্রানজিট নিতে হয়। সড়ক পথে তো যোগাযোগ কখনই ছিল না। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য বাড়ছে না।

গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাকিস্তানে ৫ কোটি ৫ লাখ ৪ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময় আমদানি করেছে ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য।

মতবিনিময়ে সরাসরি যোগাযোগ চালুতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, পাকিস্তানিদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজে বাংলাদেশ সফরের প্রয়োজন হচ্ছে। তাই আগ্রহীদের ভিসাপ্রাপ্তি আরও সহজ করার প্রস্তাব দেন তিনি।

বলেন, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। সুসম্পর্ক বজায় রেখেই এই সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী পাকিস্তান। কারণ, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমেই পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সামনে এগিয়ে যেতে চায়।

পাকিস্তান হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের তৈরি সিরামিক পণ্য পাকিস্তানের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তৈরি পোশাক, ফার্মাসিটিক্যাল পণ্য, পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্যেরও রয়েছে বিপুল চাহিদা। এই চাহিদা আরও বাড়াতে পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের সিঙ্গেল কান্ট্রি ফেয়ারও আয়োজন করতে পারে।

এ বিষয়ে হাইকমিশন প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে তৈরি এবং সেই লক্ষ্যে জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনে (জেইসি) নবম সভা অনুষ্ঠানের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

পাকিস্তানের এমন সব অনুরোধে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে জানিয়ে বলেন, ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করে দুই দেশের বাণিজ্যই বাড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। তবে এটাও মনে রাখা জরুরি- আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিকাশে বাণিজ্যকারী দেশের অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্কারোপ যে কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়নে বড় বাধা হিসেবে বিবেচিত।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, পাকিস্তান অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রপ্তানির ক্ষেত্রে অ্যান্টি-ডাম্পিং আরোপ করেছে। এ ধরনের পদক্ষেপ বাণিজ্য বিকাশে প্রতিবন্ধকতাই বাড়ায়। অথচ আলোচনার মাধ্যমে বিরাজমান যে কোন সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে গঠিত জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন (জেইসি) এর সভায় ইস্যুটি তুলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব দেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ইউক্রেনে নতুন রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার উদ্বেগজনক : জাতিসঙ্ঘ

রাশিয়ার নতুন এক মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ইউক্রেনে হামলা নতুন করে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ