চলতি মাসেই করোনাভাইরাস টিকার আরও ডোজ আমদানির কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সময় টিভির প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, তিনি টিকা উপহার পাঠানোয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
“উপহার হিসাবে টিকা পাঠানোয় আমি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই।” একইসঙ্গে, পরিকল্পনা মাফিক ক্রয় করা টিকার ডোজ খুব শিগগির আসবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উদযাপন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অ্যালামনাইদের মতামত” শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষে ‘টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় ও দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি।’
সেখানে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশের কেনা টিকা আগামী ২৫-২৬ জানুয়ারি আসবে।
টিকা পাওয়ার পর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তার সকল পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছি।”
দেশ থেকে কোভিড-১৯ মহামারী দূর হওয়ার আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “এটা আমরা সকলেই প্রত্যাশা করি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আর প্রধানবক্তা হিসেবে ছিলেন বরেণ্য অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন।
ইতোপূর্বে, আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চালান হস্তান্তর করেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। ভারতের জনগণের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে এই ২০ লাখ ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে ভ্যাকসিনের প্রথম বাক্সটি তুলে দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনার ধারাবাহিকতায় ভারতে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী প্রথমে নীতির অংশ হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি ভারত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
কোভিশিল্ডের ২০ লাখ ডোজ উপহার আসলে ভারতের পক্ষে প্রতিবেশী কোনো দেশকে দেওয়া সবচেয়ে বড় পরিমাণ বলে উল্লেখ করেন হাইকমিশনার।