রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১ হাজার ২৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৈঠকে দুই হাজার ৫৯ কোটি ৪১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬০ টাকা ব্যয়ে ৮টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) এক ভার্চ্যুয়াল সভায় ক্রয় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় ৯টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তিনটি, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি এবং স্বাস্থ্য বিভাগে একটি। এর মধ্যে একটি প্রস্তাব ফেরত দেওয়া হয়েছে আগামী সভায় উপস্থাপনের জন্য।
আটটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ২০৫৯ কোটি ৪১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ১৮৭০ কোটি ৮১ লক্ষ ৮১ হাজার ১৭৪ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ ১৮৮ কোটি ৫৯ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৬ টাকা।
সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। তিনি জানান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সার্স-কোভ-২ এজেডডি ১২২২) সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে তিন কোটি ডোজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২৭১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ক্রয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়ে পিপিআর, ২০০৮-এর বিধি ৭৬ (২)-এ উল্লিখিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বে কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তাবটি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সুপারিশ করেছে।