অবসর নেওয়ার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিজাত এলাকায় অফিস পরিচালনার জন্য পাবেন বিশাল জায়গা। যার যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। এছাড়া ওই অফিসে যেসব কর্মী কাজ করবেন, সরকার বহন করবে তাদের খরচও। সাথে বিভিন্ন ভ্রমণ ও টেলিফোন খরচ বাবদ ভাতাও পাবেন ‘সাবেক’ হতে চলা এই প্রেসিডেন্ট।
শুধু প্রেসিডেন্ট নয়, বরং অবসর নেওয়ার পর সরকারি সুবিধা পাবেন প্রেসিডেন্টের পরিবারও। ট্রাম্প ও তার পরিবারের জন্য সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা রক্ষার সুবিধার সব খরচই বহন করবে সরকার। এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্টের স্বামী বা স্ত্রী আজীবন পেনশন পাবেন বছরে ২০ হাজার ডলার।
আমেরিকার সংবিধানের রীতি অনুযায়ী, সব সাবেক প্রেসিডেন্টই বেতন পান প্রেসিডেন্টের ক্যাবিনেটের সদস্যদের মাইনের মতো। ২০১৭ সালে এর পরিমাণ ছিল বছরে ২ লাখ ৭ হাজার ৮০০ ডলার। আমেরিকার যে ৪৪ জন প্রেসিডেন্ট অবসরে গিয়েছেন, তাদের সবার জন্যই সরকার এসব সুবিধা দিয়ে আসছে।
২০২০ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন জো বাইডেন।
সরকারি এমন সব সুবিধা ছাড়াও আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্টরা আত্মজীবনী লিখে, কর্পোরেট সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হয়ে বা বিশ্বের নানা প্রান্তে আমন্ত্রণী বক্তৃতা দিয়েও উপার্জন করেন। আমেরিকার সংবিধানে সেই অধিকার দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি