ঘরের মাঠ, সাথে সাম্প্রতিক উত্তুঙ্গ পারফরম্যান্স; সব মিলিয়ে স্বাগতিক হিসেবে বেশ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়, অনেকটাই অচেনা। অনেক খেলোয়াড়ের ভিডিও পযন্ত নাই। অভিষেক হতে পারে একাধিক খেলোয়াড়ের। সব মিলিয়ে এমন দলের বিরুদ্ধে স্বস্তি যেমন আছে, আছে শঙ্কাও। না জানি কী হয়। এমন আবহ নিয়েই শুরুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ময়দানি লড়াইয়ে নামবে দুই দল।
শীর্ষ সারির ১০-১২ জন ক্রিকেটার আসেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। স্বভাবতই দলটি ভাঙাচোরা, দুর্বল ভাবা হচ্ছে। কিন্তু আদতে সেই দুর্বলের মাত্রাটা কতটুকু, তা জানা নেই সবার। ফলে অদৃশ্য একটা আতঙ্ক থাকছেই। শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচের পর বুধবারের প্রথম ওয়ানডেতে উইন্ডিজের স্কোয়াডে পরিবর্তন আসবে নয়টি। অভিষেক হতে পারে প্রায় পাচ থেকে ছয় জনের। অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদই যেমন ক্যারিবীয় জার্সি গায়ে পড়বেন প্রায় দুই বছর পর। তবে এমন দল নিয়েই গোটা ক্যারিবীয় শিবির প্রবল প্রত্যয়ী। বাংলাদেশকে সমীহ করলেও অলক্ষ্যে তাদের টার্গেট শুধুই জয়।
সামগ্রিক পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৮ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ২১টি, বাংলাদেশের ১৫টি, রেজাল্ট হয়নি দুটিতে। তবে শেষ পাচ ম্যাচের হিসেবে দুর্দান্ত বাংলাদেশকেই দেখা যাচ্ছে। যেখানে সব কটিতেই জিতেছে টাইগাররা। এর মধ্যে ছিল ডাবলিনে ঐতিহাসিক ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়, বিশ্বকাপের ম্যাচও।
বাংলাদেশের সামনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আনন্দ। সঙ্গে জয়টাও মুখ্য। টাইগার শিবিরে স্পট লাইটে থাকছেন সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিবের সঙ্গে থাকছেন দারুণ ফর্মে থাকা কিছু ক্রিকেটারও। থাকছেন অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরুর অপেক্ষায় তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ শিবিরে অভিষেক হতে পারে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের। অপেক্ষায় থাকছেন স্পিনার মেহেদী হাসানও।
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোই মূল লক্ষ্য তামিম ইকবালের। প্রতিপক্ষ কেমন, দুর্বল না সবল; সেটিতে তার চোখ নেই। বরং লক্ষ্য নিজ দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। আর সেটা করতে পারলে জয় আসবেই।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তামিম তেমনটিই বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের লাইনআপ তো আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই। তারা কি দল পাঠাবে, কে আসবে বা না আসবে এর কোনোটাই আমাদের হাতে না। আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে ভাল খেলা।’
সব মিলিয়ে ভাল খেলার জোর তাগিদ তামিমের, ‘এখন তো সিরিজগুলো নরমাল সিরিজ না, যেখানে হারলে সমস্যা নেই। ওয়ার্ল্ডকাপ কোয়ালিফাইংয়ের জন্য প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি শুধু সেটাতেই আমরা ফোকাস করছি। যেটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই সেটা নিয়ে আলাপ করে খুব বেশি লাভ নেই।’
নিজ স্কোয়াড নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এই সময়ে আমাদের খুব সলিড একটা পেস বোলিং ইউনিট আছে। আপনি দেখেন যে সবাই সেরা একাদশে খেলার যোগ্য। সবাই পারফর্ম করছে, ভাল খেলছে, রিদমে আছে। পেস বোলারদের মধ্যে সেরা একাদশে ঢোকার জন্য যে ফাইট সেটা দলের জন্য ভাল।’
সিরিজ জিততে চান তামিম। তবে শুরুটা ভালো করা খুবই জরুরি। তামিমের মতে, ‘দীর্ঘদিন পর আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছি, ভালো শুরুটাই ভালো করা সবচেয়ে জরুরি।’