বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের করোনা ভাইরাসের টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স ’ পরীক্ষামূলক মানবদেহে প্রয়োগ বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
রোববার( ১৭ জানুয়ারি) মহাখালীতে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) এই আবেদন জমা দেওয়া হয়। গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদসহ গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কর্মকর্তারা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএমআরসিতে ইথিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের আবেদন জমা দিতে আসেন।
সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার পৃষ্ঠার এই আবেদনটি বিএমআরসির একজন সহকারী পরিচালক গ্রহণ করেন। এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডকে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য করোনা ভাইরাসের টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরির দৌড়ে থাকা একমাত্র বাংলাদেশি কোম্পানি, যার টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সারা বিশ্বে যেসব টিকা তৈরির কাজ হচ্ছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে এমন ৪২টি টিকার একটি তালিকা এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগের অবস্থায় (প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) থাকা ১৫৬টি টিকার আরেকটি তালিকা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
সেই তালিকায় বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকার নাম রয়েছে। গত বছরের ৩ জুলাই তেজগাঁওয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গ্লোব বায়োটেকের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরির চেষ্টার ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে ১০ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে তাদের সেই সম্ভাব্য টিকা কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে। টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআর,বির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করলেও পরে তা বাতিল করে গ্লোব বায়োটেক।