কান নিয়ে কানাকানির পালা এবার। আপনি কি কান খোঁচাতে ওস্তাদ? কান রোজ পরিষ্কার করতে হবে। এটা জানেন, মানেন। সেজন্য নিয়ম করে কটনবাড ব্যবহার করছেন? জেনে রাখুন, খুব ভুল করছেন। নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন।
কান আর কটনবাড। কানেকশন গভীর। সুযোগ পেলেই কান খোঁচানো, এ অভ্যেস অনেকেরই আছে। ভাবছেন হয়ত, এক ঢিলে দুই পাখি মারা হচ্ছে! কান সাফসুতরো থাকছে, আরামও হচ্ছে। কিন্তু নাহ। বরং বাড়ছে বিপদ।
সিংহভাগ লোকের মত, বাড়িতেই নিয়মিত কান পরিষ্কার করা উচিত। কটনবাডই কান পরিষ্কারের সবচেয়ে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য উপায়। তবে গবেষণা বলছে, এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। কানের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারদের কাছে যে লম্বা লাইন পড়ে তার মধ্যে অনেকেরই সমস্যার কারণ কটনবাড ব্যবহার।
কটনবাড ব্যবহারের ফলে কানের ভিতরের ময়লা আরও বেশি ভিতরে ঢুকে যায়। কানের পর্দার আরও কাছে পৌছে যায় ময়লা। কানের মধ্যে থেকে যতটা না ময়লা বের হয়, তার চেয়ে বেশি ভিতরেই থেকে যায়। কানে ক্ষত সৃষ্টির আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। আঘাত লাগলে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। কানের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। শোনার ক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নষ্ট হয়ে যেতে পারে শরীরের ভারসাম্য।
কটনবাড ব্যবহার সাময়িক আরাম দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্ভাবনাই প্রবল। কটনবাড ব্যবহারের ফলে কানে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। বহুদিন ধরে এটি ব্যবহার করলে ছত্রাক সংক্রমণও হতে পারে। অহেতুক কটনবাড নিয়ে কান খোঁচাখুঁচি বিপজ্জ্বনক। কানের ভিতরে চামড়ার নানা সমস্যা ও ব্যথার কারণও কটনবাড। অনেকসময় কটনবাডের তুলোর খানিকটা অংশ কানে থেকে গিয়ে বিপদ বাড়ায়। কানের ময়লা সাধারণত বিশেষ কারণ ছাড়া আলাদাভাবে পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে না। প্রাকৃতিকভাবেই কানের ময়লা বেরিয়ে আসে। প্রয়োজন হলে কান পরিষ্কারের জন্য ডাক্তারের কাছেই যাওয়া উচিত। কানের সুস্থতার জন্য তাই এখনই ছাড়ুন কটনবাড। নয়ত বিপদে পা বাড়াচ্ছেন আপনি নিজেই।