মানবাধিকারের উর্বরভূমি খ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সাত দশক পর বুধবার (১৩ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয়ভাবে এই প্রথম কোনও এক নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আজ যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
লিসা মন্টগোমারি (৫২) নামের ওই নারী ২০০৪ সালে মিসৌরি রাজ্যে এক গর্ভবতী নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার পেট কেটে গর্ভস্থ শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
বিচারে লিসাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে মৃত্যুদন্ডের তারিখ স্থগিত করা হয়। পরে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের আপিল বিভাগের তিন বিচারক চলতি মাসের ১২ তারিখে তাঁর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন।
নির্দেশ অনুসারে, স্থানীয় সময় ১৩ জানুয়ারি রাত ১টা ৩১ মিনিটে ৫২ বছর বয়সী লিসা মন্টগোমারিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর আগে ইন্ডিয়ানার টেরে হটের ফেডারেল কারাগারে লিসার শরীরে প্রাণঘাতী পেন্টোবারবিটালের ইঞ্জেকশন দেয়া হয়।
গত বছরের জুলাইয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত ১১ জন কারাবন্দির মৃত্যুদণ্ড এই ইঞ্জেকশন দিয়ে কার্যকর করা হলো। গত ১৭ বছর ধরে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড বন্ধ থাকার পর এই সাজা পুনঃরায় চালু করে সর্বোচ্চ শাস্তির কঠোর সমর্থক ট্রাম্প।
লিসার আইনজীবী কেলি হেনরি এক বিবৃতিতে বলেন, রক্তলোভী একটি ব্যর্থ প্রশাসন আজ রাতে তাদের পুরো প্রদর্শনী সম্পন্ন করেছে। লিসা মন্টগোমারির দণ্ড কার্যকর করা প্রত্যেকেরই লজ্জাবোধ করা উচিত।
লিসার আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, শিশুকালে গণধর্ষণসহ ‘যৌন নির্যাতনের’ শিকার হয়েছিলেন তিনি। এর ফলে তার আবেগ ও মানসিক অবস্থা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কেলি হেনরি বলেন, সরকার ভগ্ন ও ভারসাম্যহীন এই নারীকে হত্যার আগ্রহ দমাতে পারেনি। লিসা মন্টগোমারির মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। সূত্র-আল জাজিরা।