ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার থেকে বিতারিত হওয়ার পর এবার ইউটিউব থেকেও ছিটেকে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তার ইউটিউব চ্যানেল।
এ নিয়ে ইউটিউব জানিয়েছে, প্রাইভেসি পলিসি মেনে না চলায় নূন্যতম সাত দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেল।
সম্প্রতি চ্যানেলে আপলোড হওয়া কন্টেন্ট থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গুগলের প্রতিষ্ঠান ইউটিউব জানিয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য এই চ্যানেলের কোনও কন্টেন্টে কমেন্ট করার বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। তাদেরকে উস্কানি দেয়ার অভিযোগও ওঠে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এজন্য তাকে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিতে শুরু করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ট্রাম্পকে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাখলেও ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিয়েছে টুইটার।
এমনিতেই টুইটারের সঙ্গে আগেও ট্রাম্পের বিবাদ লেগেছিল একাধিকবার। মিথ্যা বা ভুল তথ্যের তকমা দিয়ে তার একাধিক টুইট ফ্ল্যাগ করে দিয়েছিল তারা। এবার তারা শুধু চরমপথ নেয়নি, ট্রাম্পের তিনটি টুইটার অ্যাকাউন্টকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এবার হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে সেই পথে হাঁটলো ইউটিউব।
এদিকে, আরও সহিংসতার আশঙ্কায় ওয়াশিংটন ডিসিতে যখন ইমার্জেন্সি দেয়া হয়েছে, কড়া সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো, তখন অভিশংসনকে কেন্দ্র করে আরো সহিংসতার হুঁশিয়ারি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন হামলার ঘটনায় তিনি মোটেও অনুতপ্ত নন। তার কণ্ঠে এ জন্য কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি। উল্টো তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন সবাইকে। বলেছেন, তাকে অভিশংসনে আরও সহিংসতা হতে পারে।