ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ডিএসসিসির পক্ষ থেকে অথবা আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনোভাবেই কোনো অভিযোগ আনিনি। যেসব ব্যবসায়ী ও দোকানদারের অবৈধ দখলে জায়গাগুলো ছিল, তারা অর্থ লেনদেন করেছেন। এখন তিনি পুরো দোষ আমার ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। সেটা আমি মনে করি খুবই অনভিপ্রেত। শুধু আক্রোশের বশবর্তী হয়ে তিনি এই বিষয়গুলো তুলে ধরছেন।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মানিকনগর এলাকার স্লুইসগেট ও পাম্প হাউস পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি সাঈদ খোকনের বক্তব্যকে মানহানিকর উল্লেখ করে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন।
মেয়র বলেন, ১৭ মে দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। সেখানে আপনারা লক্ষ্য করেছেন, মার্কেটসংক্রান্ত কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সংবাদকর্মীরা আপনারাই সেগুলো অনুসন্ধান করে বের করেছেন। সেখানে বিভিন্নভাবে টাকা লেনদেন হয়েছে। যাদের সঙ্গে টাকা লেনদেন হয়েছে, যারা লেনদেন করেছেন, তারাই অভিযোগ এনেছেন।
গত শনিবার দুপুরে রাজধানীতে এক মানববন্ধনে বর্তমান মেয়র শেখ তাপসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। পর দিন রোববার এক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে সাঈদ খোকনের এ বক্তব্যকে ব্যক্তিগত অভিমত বলে মন্তব্য করেন মেয়র তাপস। সোমবার আবার সাঈদ খোকনের বক্তব্য নিয়ে বলেন তিনি।
তাপস বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বক্তব্য মানহানিকর। আমি তার বক্তব্য শুনে অবাক হয়েছি।
‘তিনি নিজে চুনোপুঁটি দুর্নীতিবাজ হিসেবে স্বীকার করেছেন। আর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই এটা মানহানিকর হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে পারি।’
আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন কিনা- জানতে চাইলে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, মানহানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তো আইনি ব্যবস্থাই নিতে হবে।
সাঈদ খোকনের দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তাপস বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আগের দিন আমরা লক্ষ্য করলাম, তিনি (সাঈদ খোকন) ঘটা করে একটা সভা ডেকে আমার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেন। আমার মনে হয়, এটা ওনার ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।