তাইওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তা পর্যায়ের যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে অকার্যকর হবে।
চীন সরকারকে ‘খুশি রাখতে’ কয়েক দশক ধরে ‘স্বপ্রণোদিত হয়ে’ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এতথ্য জানানো হয়।
চীন তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে। কিন্তু তাইওয়ানের নেতারা নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করেন।
কয়েকদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন জো বাইডেন। ঠিক এই সময়ে এসে তাইওয়ানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে চীনকে চটাতেই ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবারের বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের কূটনীতিকদের মধ্যকার যোগাযোগ সীমিত করতে জটিল কিছু বিধি-নিষেধ আনা হয়েছিল। আজ আমি ঘোষণা করছি, নিজেদের আরোপিত এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলো।’
এর প্রতিক্রিয়ায় ‘একক চীন’ নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে শ্রদ্ধাশীল হতে বলেছে চীন।