যুক্তরাষ্ট্রের জনরায় প্রত্যাখ্যানকারী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ঐতিহাসিকভাবে দ্বিতীয় বারের মতো অভিশংসনের সম্মুখীন হচ্ছেন।কার্যত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন হোয়াইট হাউসের চার দেয়ালে বন্দি।
বুধবারের সন্ত্রাসী ঘটনার পর থেকে তার সাথে অতি ঘনিষ্ঠরাও সংযোগ কমিয়ে দিয়েছেন।এড়িয়ে চলছেন প্রেসিডেন্টকে। মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র ১২ দিন বাকি থাকতে এই জোরালো অভিশংসের মুখে পড়ছেন।তবে এবার প্রেক্ষাপট সম্পূন্ন ভিন্ন।টুইটার তার একমাত্র প্রচার ও যোগাযোগের মাধ্যম ফাষ্ট একাউন্ট স্হায়ী ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার হায়ার ফায়ার থেকে শুরু করে গুরত্বপূর্ণ সবকিছু টুইটারে সারতেন।
তিনি এখন অনেকটা পাগলাটে আচরণ শুরু করেছেন।অনেকে তার মানসিক স্হিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেন বলেছেন তার শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের না থাকা গুড থিংক।
বাইডেন প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের সিদ্ধান্ত আইনপ্রণেতাদের উপর ছেড়ে দিয়ে বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টের জন্য ফিট নন। ডেমোক্রাট আইনপ্রণেতারা এ সংক্রান্ত একটি বিলের খসড়া নিয়ে কাজ করছেন।আগামী সোমবার কংগ্রেস তা উত্থাপিত হতে পারে।এবার ডেমোক্রেটদের সাথে রয়েছেন প্রেসিডেন্টের নিজ পার্টি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাও। আলাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর লিসা মর্কোয়াস্কি ট্রাম্পকে সত্বর পদত্যাগের আহবান জানিয়েছেন।
শুক্রবাব ওয়াশিংটন ডিসির এয়ারপোর্টে ট্রাম্পের ভক্তদের হাতে লান্ছিত হন প্রেসিডেন্টের খুবই ঘনিষ্ঠ হাই প্রোফাইল সাউথ ক্যারোলাইনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম।উগ্রবাদী সমর্থকরা ওয়াশিংটনের রিগ্যান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে তাকে ঘিরে ধরে নানাভাবে নাজেহাল ও লান্ছিত করে।তারা তাকে ‘লায়ার’ বলে অভিযুক্ত করে এবং নানা শ্লোগান দেয়।বলে এটা ট্রেইলার মাত্র।পর পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দেয়।
উল্লেখ, ট্রাম্পের এই মিত্র বুধবারের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের উপর তার সাপোর্ট প্রতাহার করে নেন। কংগ্রেস ও সিনেটের যৌথ সভায় তার বক্তব্যে ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন,এনাফ ইজ এনাফ।।