অবশেষে পদ্মা সেতুর রেলের ত্রুটির সমাধান আসতে শুরু করেছে। পাইল বাড়িয়ে দিয়ে ‘রি-ডিজাইন’ করে সমস্যা সমাধান হয়েছে জাজিরা প্রান্তে। আর মাওয়া প্রান্তে খুঁটি উঠে যাওয়ায় ডিজাইনে পরিবর্তন আনা হবে। সেতু কর্তৃপক্ষ, রেল প্রকল্পের এমন সমাধানে সম্মত হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের হেডরুম উচ্চতার ত্রুটি প্রকাশ পায়।
আগের নকশায় দেশের সড়কপথের হেডরুমের ক্ষেত্রে হরাইজন্টাল ১৫ মিটার ও ভার্টিক্যাল ৫ দশমিক ৭ মিটার পরিমাপকে স্ট্যান্ডার্ড মানা হলেও পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পে তা মানা হয়নি। এতে সেতুতে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও দ্বিতল বাস প্রবেশ করতে পারবে না- আশঙ্কায় সেতু কর্তৃপক্ষ রেল প্রকল্পের কাজে আপত্তি দেয়।
প্রায় ৬ মাস পর পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্পের ত্রুটির সমাধান বেরিয়েছে। সেতুর দুই পাড়ে রেললাইনের সঙ্গে সড়কের উচ্চতা ও প্রস্ততার ত্রুটি ধরা পড়েছিল গত জুন মাসের দিকে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রুটির দ্রুত সমাধান হয়। সংকটের সহজ সমাধানে খুশি পদ্মাপাড়ের মানুষ।
পদ্মার সেতুর নির্মাণকর্মী আবু বকর বলেন, পদ্মা সেতুর প্রকল্পে রেলওয়ের যে ত্রুটি ছিল সেটা সমাধান করা হয়েছে। এতে রেলওয়ের কাজও যথাসময়ে শেষ হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে রেল প্রকল্পের খুঁটিতে পাইল বাড়িয়ে দিয়ে এ সমাধান বের করা হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে খুঁটিটি তৈরি না হওয়ায় সমাধানে এই প্রান্তে খুঁটি না ভেঙেই প্রয়োজনীয় উচ্চতা ও প্রস্থ বাড়ানো হয়েছে। তবে মাওয়া প্রান্তে খুঁটিটি তৈরি হয়ে যাওয়ায় এটির সমাধান আসবে ডিজাইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন চৌধুরী, আমরা একটা পাইল বাড়িয়ে ওনাদের (প্রকল্প কর্মকর্তা) যে চাহিদা সেটা পূরণ করা হয়েছে।
মূল পদ্মা সেতুর ভেতরে ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু ও রেললাইন নির্মাণ কাজ করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুর দুই পাড়ে সংযোগ সড়কে ওঠানামার ক্ষেত্রে এই ত্রুটি দেখা দিয়েছিল।