সম্প্রতি জাতিসংঘে গাজাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। রীতিমত ভোটের মাধ্যমে এই সংক্রান্ত একটি বিল পাস করা হয়েছে। আর তাই এটি এখন আর নেশাজাতীয় কোনো দ্রব্য নয়। বৈধ্য পণ্য।
এদিকে শিল্পের জন্য বৃহদাকারে গাঁজা চাষের অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান সরকার৷ এর মাধ্যমে আগামী তিন বছরে ১০০ কোটি ডলার আয়ের সম্ভাবনা দেখছে ইমরান খানের সরকার৷
গত কয়েক বছর ধরেই ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের অর্থনীতি৷ দেশটির কৃষি শিল্প পড়তির দিকে৷ রপ্তানির ৬৪ ভাগ যেই তুলা থেকে আসে ২০১৯ সালে তার উৎপাদন ২০ ভাগ কমেছে৷ এ কারণে লোকসানে পড়ছেন কৃষকরা৷ সেই জায়গায় গাঁজা চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছে দেশটির সরকার৷
শিল্পে ব্যবহারের জন্য গাঁজা চাষের অনুমতি দেবে পাকিস্তান৷ গত সেপ্টেম্বরে এমন ঘোষণা এসেছে সরকারের তরফ থেকে৷ দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের একটি অংশ ধরতে পারলে তিন বছরে এই খাত থেকে পাকিস্তানের আয় দাঁড়াবে ১০০ কোটি ডলার৷ যেখানে গোটা আন্তর্জাতিক বাজারের আকার এখন ২৫ হাজার কোটি ডলার৷
পরিবেশ-বান্ধব ও সহজ চাষ : পাকিস্তানে বসবাসরত জার্মান পরিবেশবিদ হেলগা আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, গাঁজা এমনকি খারাপ আবহাওয়াতেও সহজে চাষ করা সম্ভব৷ ‘‘এর উৎপাদনে কোনো কীটনাশকের প্রয়োজন নেই, যার কারণে এটি পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ৷ এমনকি অল্প জমিতেও এটি যথেষ্ট জন্মে এবং তুলার চাষের চেয়ে কম পানির প্রয়োজন হয়৷
জাতিসংঘে ভোটাভুটি : সম্প্রতি সদস্য দেশগুলোর এক ভোটাভুটির মাধ্যম গাঁজাকে কঠিন মাদকের তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ৷ চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় গাঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই নেয়া হয় এই সিদ্ধান্ত৷ এর আগে ২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এই বিষয়ে জাতিসংঘকে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিল৷
গাঁজার বাজার : অনেকের কাছে মাদক হিসেবে পরিচিত হলেও চিকিৎসায় গাঁজা ব্যবহার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে৷ ঔষধ শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা৷ বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল মার্কেট ইনসাইটের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বে গাঁজার বৈধ বাজারের আকার ৫৯ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে