ভারত সরকার কর্তৃক সাড়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অবশেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও শুরু হচ্ছে পেঁয়াজ আমদানি।
শনিবার (২ জানুয়ারি) কোনও জটিলতা না থাকলে দেশে পৌঁছাবে পেঁয়াজের প্রথম চালান। এমন কথাই জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারকেরা। ইতোমধ্যে তারা কয়েকটি ব্যাংকে এলসিও উম্মুক্ত করেছেন। এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম অন্তত ৬-৮ টাকা কমে গেছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা জানান, ভারত সরকার গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে। এরফলে দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
জরুরি সংকট মোকাবেলায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিসর, তুরস্ক ও চীন থেকে বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করে। এ অবস্থায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। তখন প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫০-৬০ টাকার মধ্যে।
বাংলাহিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা মঈনুল ইসলাম, শাকিল হোসেন জানান, তারা শুনেছেন ভারত থেকে শনিবার দেশে পেঁয়াজ আসবে। এই খবর বাজারে পৌঁছালে প্রতি কেজিতে ৭-৮ টাকা করে দাম কমে গেছে। শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৩০-৩২ টাকায়। তার আগে বিক্রি হয় ৩৬-৪০ টাকায়।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক সংগঠনের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, কোনও জটিলতা না থাকলে শনিবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। অনেক আমদানিকারক ব্যাংকে এলসি করেছেন।
তবে বাংলাদেশে রফতানির ক্ষেত্রে ভারত সরকার এখনও নির্দিষ্ট করে কোনও মূল্য নির্ধারণ করে দেয়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ২০০-৩০০ ডলারের মধ্যেই আমদানি করা যাবে। ভারতের পেঁয়াজ বাজারে এলে ২০-২৫ টাকার মধ্যে পাইকারি বিক্রি হবে। তবে চাহিদার উপর নির্ভর করে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
সূত্র : ইউএনবি।