ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের মাধ্যমে সনাতন ধর্মের শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিয়ে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের নৈতিকতা সম্পন্ন যোগ্য নাগরিক তৈরিতে এ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকালে অনলাইনে ‘মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৫ম পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব সাধন করেছে। প্রতি বছর কোটি কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে বছরের প্রথম দিনেই বই বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সাথে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প, প্যাগোডাভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পসমূহ দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে লাখ লাখ শিশুকে ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান করছে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থায় অবদান রাখছে।
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রঞ্জিত কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল প্রমুখ।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, ভাইস চেয়ারম্যান, ট্রাস্টি, প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশ নেন।