যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সাংবিধানিক বিধানটি মূলত দাসদের সন্তানদের জন্য প্রণীত হয়েছিল, এটি ধনী অভিবাসীদের জন্য তাদের ‘পুরো পরিবারকে মার্কিন নাগরিক বানানোর’ উপায় হিসেবে ছিল না। এই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন দীর্ঘদিন ধরে চলা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বিতর্ক পর্যালোচনায় নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সম্মতি দিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল সংক্রান্ত তার নির্বাহী আদেশের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, এই মামলাটি ছিল দাসদের সন্তানদের জন্য এবং এটি গৃহযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি কোনো ধনী ব্যক্তির জন্য ছিল না, যে অন্য দেশ থেকে এসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে এবং তার পুরো পরিবার নাগরিক হয়ে যাবে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে সুপ্রিম কোর্টে তার প্রশাসন মামলায় হেরে গেলে তা হবে ‘ধ্বংসাত্মক’। ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের মাধ্যমে আসা কোটি কোটি মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার সামর্থ্য যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন, যার মাধ্যমে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অভিবাসী এবং কেবল সাময়িকভাবে আসা বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সন্তানদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়। একাধিক ফেডারেল আদালত সাময়িকভাবে এই আদেশ কার্যকরে স্থগিতাদেশ দিলেও, ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এই আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করতে পারেন।
সূত্র: এনডিটিভি

