গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন হাজারও মানুষ। এ সময়, গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনা ও ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষার দাবি জানান তারা।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
এদিন, গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে ইতালিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী রোমে হওয়া এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ নেন কয়েক হাজার মানুষ। ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাতে এতে অংশ নিয়েছেন আলোচিত সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রানসেস্কা আলবানিজও।
এ সময়, যুদ্ধবিরতি স্বত্বেও গাজায় তেলআবিবের লাগাতার হামলার প্রতিবাদ জানান তারা। ইতালি সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটের বিরুদ্ধে মূলত এই কর্মসূচি আয়োজন করেছে দেশটির কট্টরপন্থিরা। তাদের অভিযোগ, ২০২৬ সালে স্বাস্থ্য-শিক্ষার তুলনায় সামরিক খাতে অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে।
রোমের রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা আরও বলেন, গাজায় যা চলছে তা যুদ্ধ নয়, এটা গণহত্যা। আন্তর্জাতিক মহল চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারে না। ইতালির অন্যান্য শহর যেমন মিলান, নেপলস, ফ্লোরেন্সেও একই দিনে ছোট বড় অনেক মিছিল হয়।
অপরদিকে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভে অংশ নেয় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। তারা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এসময় গাজার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। সেইসঙ্গে ইসরাইলি গণহত্যার নিন্দা জানান তারা।
এছাড়া, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের অফিসের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
অন্যদিকে, পর্তুগালের লিসবনে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার নিন্দা ও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশে প্রায় বিশ হাজার মানুষ এক মানববন্ধন অংশ নেয়। এ সময়, তারা সমগ্র বিশ্বের সামনে কিছু দাবি উত্থাপন করেন। এগুলো হলো- স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবেশ, গণহত্যার আন্তর্জাতিক তদন্ত এবং অস্ত্র বিক্রি বন্ধ।
সূত্র: আলজাজিরা।

