ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ইসরায়েলের কারাগারে প্রয়োগ করা নির্যাতন, যৌন ও শারীরিক অত্যাচার এবং প্রাণহানির ঘটনা নিয়মিত হয়েছে—এটি কেবল ব্যতিক্রম নয়, বরং একটি নীতি হিসেবে চলেছে। এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস।
সংস্থাটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যু নিশ্চিতভাবে নির্যাতন, শারীরিক হামলা, চিকিৎসার প্রতি অবহেলা বা অপুষ্টির কারণে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন।
পিএইচআরআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুর অনেক ঘটনাই ইসরায়েলের সামরিক ও সিভিলিয়ান কনসেনট্রেশন সুবিধায় ঘটেছে।
প্রতিবেদনের একজন লেখক ওনেগ বেন ডরোর বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, ‘এটি শুধু চরম-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের নীতি নয়, এটি ইসরায়েলের নীতি, যা ইসরায়েলি হেফাজতে থাকা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে।’
প্রতিবেদনটিতে নির্যাতনের কয়েকটি জ্বলন্ত উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে:
* পশ্চিম তীরের ৩৩ বছর বয়সী বাসিন্দা আব্দ আল-রাহমান মারি। তিনি নভেম্বর ২০২৩-এ মেগিডো কারাগারে মারা যাওয়ার পর তার দেহে অসংখ্য চিহ্ন, আঘাত এবং হাড় ভাঙার প্রমাণ পাওয়া যায়।
*ওয়ালিদ খালেদ আব্দুল্লাহ আহমাদ, ১৭ বছর বয়সী নাবলুসের বাসিন্দা। সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ আটক হওয়ার ছয় মাস পর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর দেহে প্রায় কোনো পেশী বা চর্বি অবশিষ্ট ছিল না, যদিও তার পরিবার বলেছিল সে একজন ক্রীড়াবিদ ছিলেন।
*আরাফাত হামদান, ২৫ বছর বয়সী, বেইত সিরার বাসিন্দা। শুধুমাত্র দুই দিন সামরিক হেফাজতে থাকার পর মারা যায়। ‘টাইপ-১’ ডায়াবেটিসের রোগী আরাফাতকে বাঁচতে নিয়মিত ইনসুলিন প্রয়োজন ছিল। মৃত্যুর সময় তাকে মারধর করা হয় এবং ওষুধ দেয়া হয়নি।

