আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত দ্বিতীয় দিনের সংলাপে আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিনিধিদল নিয়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দলটির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসানাত আমিনীর অনুসারীরা সংলাপে যোগ দিতে এলে দলটির বর্তমান অংশের আপত্তির মুখে তাঁদের সম্মেলনকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
সংলাপ শুরুর আগে বর্তমান চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল কাদির অংশের প্রতিনিধিরা বসার জায়গা না পেয়ে আপত্তির জানান। বর্তমান অংশের একজন প্রতিনিধি ইসি সচিবের উদ্দেশে বলেন, “ফ্যাসিবাদের দোসর যাঁরা গত নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা এখানে বসে আছেন।”
এ সময় ইসি সচিব আখতার আহমেদ উভয় পক্ষের কাছে দাওয়াতপত্রের লিখিত হার্ডকপি দেখতে চান। বর্তমান চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল কাদির অংশের প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছে থাকা লিখিত দাওয়াতপত্র দেখাতে সক্ষম হন। অন্যদিকে, আমিনীর অনুসারীরা দাওয়াতপত্রের হার্ডকপি দেখাতে ব্যর্থ হন। এরপর সচিব আমিনীর অনুসারীদের সম্মেলনকক্ষের বাইরে চলে যেতে নির্দেশ দেন।
বের হয়ে যাওয়া প্রতিনিধিদলের একজন, মাওলানা আলতাফ হোসেন (যুগ্ম মহাসচিব পরিচয় দিয়ে) সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন যে, দলের নিবন্ধন তাঁদের নামে থাকলেও, ব্ল্যাকমেল করে তাঁদের দাওয়াতপত্র অপর পক্ষ নিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর আবুল হাসানাত আমিনী পদত্যাগ করেন এবং কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর মাওলানা আবদুল কাদিরকে চেয়ারম্যান এবং মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজীকে মহাসচিব করে ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন জানান, সামনে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আচরণবিধি যদি সবাই পালন করে, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে। দলগুলোকেও এই আচরণবিধি প্রচারে সহায়তা করার আহ্বান জানান সিইসি।
সকালের সংলাপে অংশ নেওয়া অন্য দলগুলো হলো: গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।

