ইউরোপীয় অঞ্চলের বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব কিছুটা দেরিতেই শুরু করেছিল স্পেন। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলেই তারা জয়ের ধারা ধরে রেখেছে। কেবল তাই নয়, কোনো গোল হজম না করেই ৫ ম্যাচে তারা ১৯ বার বল জালে জড়িয়েছে। যার সর্বশেষ শিকার জর্জিয়া। তাদেরকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে স্পেন ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিতের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেল।
গতকাল (শনিবার) জর্জিয়ার বরিস পাইচাদজে দিনামো অ্যারেনায় যথারীতি আক্রমণাত্মক ছিল ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সাম্প্রতিক সময়ে লামিনে ইয়ামালের ইনজুরি ও বার্সেলোনার সঙ্গে টানাপোড়েনের কোনো প্রভাবই নেই স্প্যানিশদের পারফরম্যান্সে। তাদের পক্ষে মিকেল ওয়ারজাবাল জোড়া এবং মার্টিন জুবিমেন্দি ও ফেররান তোরেস একটি করে গোল করেছেন।
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে টানা ৩০ ম্যাচে অপরাজিত স্পেন ৫৭ শতাংশ পজেশনের পাশাপাশি ১৫টি শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। বিপরীতে স্বাগতিক জর্জিয়ার নেওয়া ৪ শটের দুটি লক্ষ্যে ছিল। তবে ছিল গোলশূন্য। স্পেন গোলের খাতা খোলে একাদশ মিনিটে। জর্জিয়া ফুটবলারের হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা, এরপর স্পট কিকে ওয়ারজাবাল প্রথম গোলটি করেন। ২২ মিনিটে লিড ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জুবিমেন্দি। ফ্যাবিয়ান রুইজের পাস পেয়ে বক্সে ঢুকে তিনি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছেন।
বিরতির আগেই তৃতীয় দফায় এগিয়ে যায় লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল। ওয়ারজাবালের অ্যাসিস্টে এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন তোরেস। জর্জিয়া গোলরক্ষক জর্জি মামারদাশভিলি দারুণ এক সেভ না করলে বিরতির আগে আরেকটি গোল হজম করতে হতো। অনেকক্ষণ পর্যন্ত স্প্যানিশ গোলরক্ষককে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি জর্জিয়া। ৬০ মিনিটে প্রথম উনাই সিমনের কাছে তারা একটি বল পাঠায়। তোরেসের ক্রসে পাওয়া বলে হেড দিয়ে ৬৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ওয়ারজাবাল। তাতে স্পেনের বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এই জয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রাখলো স্পেন। ৫ ম্যাচে শতভাগ জয়ের পর তাদের পয়েন্ট ১৫। শেষ রাউন্ডে তুরস্কের বিপক্ষে জয় কিংবা ড্র, এমনকি ৭ গোলের কম ব্যবধানে হারলেও তারা গ্রুপসেরা হয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া ১২ পয়েন্ট নিয়ে তুরস্ক দুইয়ে, জর্জিয়া ৩ পয়েন্ট ও বুলগেরিয়া খাতা খুলতে পারেনি। প্লে-অফ খেলে বিশ্বকাপে ওঠার সুযোগ আছে গ্রুপ রানার্সআপের।

