spot_img

ডিএনএ’র আবিষ্কারক ও নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন আর নেই

অবশ্যই পরুন

ডিএনএ’র দ্বি-সর্পিল (ডাবল হেলিক্স) গঠন আবিষ্কার করে আধুনিক জীববিজ্ঞান ও জিনতত্ত্বে বিপ্লব ঘটানো মার্কিন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ওয়াটসনের মৃত্যুর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরি নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে তিনি দীর্ঘ সময় গবেষণারে কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

১৯৫৩ সালে ওয়াটসন, ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে ডিএনএ অণুর গঠন যে দ্বি-সর্পিল, তা আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কার জীবনের বংশগত তথ্য কীভাবে সংরক্ষিত হয় ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়, তার মৌলিক দিকনির্দেশ দেয়। পরে ১৯৬২ সালে মরিস উইলকিন্সের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন তারা।

তবে বিজ্ঞানী হিসেবে অসামান্য কৃতিত্বের পাশাপাশি তার খ্যাতি এবং মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। একটি টিভি অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেছিলেন যে, কৃষ্ণাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে গড় বুদ্ধিমত্তায় জিনগত পার্থক্য রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তার এমন মন্তব্য বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করে।

২০০৭ সালে এমন মন্তব্যের পর ওয়াটসন কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলর পদ হারান। এরপর ২০১৯ সালে আবারও একই ধরনের মন্তব্য করলে প্রতিষ্ঠানটি তার সম্মানসূচক সকল উপাধি বাতিল করে এবং জানায়, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত নয়।’

ডিএনএ প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৮৬৯ সালে, তবে এটি বংশগতির উপাদান হিসেবে নিশ্চিত ও এর গঠন নির্ণয় হতে সময় লেগেছিল বহু দশক। ওয়াটসন ও ক্রিক ডিএনএ গঠনের মডেল তৈরি করেন কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে ডিফ্র্যাকশন ছবির সাহায্যে, যদিও তার অবদানের স্বীকৃতি সেই সময়ে যথাযথভাবে দেয়া হয়নি বলে পরবর্তীতে ব্যাপক আলোচনা হয়।

জেমস ওয়াটসনের জন্ম ১৯২৮ সালে শিকাগোতে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় যুক্ত হন, যেখানে তার সঙ্গে ক্রিকের পরিচয় হয়। এরপর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপনায় যুক্ত হন এবং স্ত্রী এলিজাবেথের সঙ্গে সেখানে বসবাস শুরু করেন। তাদের দুই পুত্র ছিল, যার মধ্যে একজন সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।

২০১৪ সালে তিনি তার নোবেল পদকটি নিলামে তোলেন। তিনি জানান, তিনি বৈজ্ঞানিক সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করছিলেন, তাই এমনটি করেছেন। নিলামে পদকটি ৪.৮ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেন এক রুশ ব্যবসায়ী। পরে অবশ্য সেটি আবার তার কাছেই ফিরিয়ে দেন।

সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ সংবাদ

জানুয়ারিতেই চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরছেন মেসি!

ইন্টার মায়ামির হয়ে দুর্দান্ত এক মৌসুম শেষ করার পথে লিওনেল মেসি। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) গোলের রাজা হয়েছেন, দলকেও...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ