ইসরায়েলের সাবেক মোসাদ পরিচালক ইয়োসি কোহেন দাবি করেছেন যে ইসরায়েল বুবি-ট্র্যাপড বা গুপ্তচরবৃত্তির বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী নাশকতা এবং গুপ্তচরবৃত্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
দ্য জিউইশ ক্রনিকলের সম্পাদক জ্যাক ওয়ালিস সাইমনসের সঙ্গে এক পডকাস্টে কোহেন এই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দেন। তিনি জানান, ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে মোসাদের স্পেশাল অপারেশনস ডিভিশনে কাজ করার সময় তিনিই ‘পেজার পদ্ধতি’ উদ্ভাবন করেন। এই প্রযুক্তিতে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের যোগাযোগ সরঞ্জামকে দূরবর্তী নজরদারি বা বিস্ফোরক ডিভাইস হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।
কোহেন আরও দাবি করেন, ইসরায়েল এমনভাবে সরঞ্জাম ডিজাইন করেছে যা দিয়ে তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি, এমনকি প্রয়োজনে শারীরিক ক্ষতিও সাধন করা সম্ভব। তিনি বলেন, ইসরায়েল প্রতিপক্ষের দেশের সরঞ্জামের সরবরাহ শৃঙ্খলে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয় এবং এই প্রক্রিয়ায় সেই দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ বিস্তার করে। ২০০৬ সালের দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের সময় এই ধারণাটি পরীক্ষা করার পরে বিশ্বব্যাপী এটি পরিমার্জিত ও বিস্তৃত করা হয়।
সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, কোহেনের এই স্বীকারোক্তি বহুদিনের সন্দেহকে নিশ্চিত করেছে। তারা বলছেন, ইসরায়েল প্রযুক্তিকে একধরনের “ট্রোজান হর্স” হিসেবে ব্যবহার করছে। এই সাক্ষাৎকারটি আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা এবং প্রযুক্তি-নির্ভর গুপ্তচরবৃত্তির সীমা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

