আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, দেশে মানবাধিকার অধ্যাদেশ জারি হয়েছে। এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে পূর্বে যারা আইনগত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেননি, এখন তারা মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের সবকিছু এখন মানবাধিকার কমিশনের আওতায় থাকবে। একইসঙ্গে কমিশনের আদেশ বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর করার বিধান রেখে মানবাধিকার কমিশন আইন সংশোধন করা হয়েছে।
অঙ্গ প্রতিস্থাপন বিষয়ে তিনি আরও জানান, “মানবদেহের অঙ্গ সংযোজনের ক্ষেত্রে আগে কেবল পরিবারের সদস্যরা অঙ্গদান করতে পারতেন। এখন থেকে শুধু পরিবার নয়, যাদের মধ্যে আবেগীয় (ইমোশনাল) সম্পর্ক রয়েছে, তারাও আইনগতভাবে অঙ্গ সংযোজন করতে পারবেন।”
রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, “২৭০ দিন আলাপ-আলোচনার পরও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য হতাশাজনক।”
তিনি আরও বলেন, “সনদ কিভাবে বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা।”
গণভোট প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণভোট নিয়ে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “কোনো রাজনৈতিক দল যদি এককভাবে তার সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে—জুলাইয়ের চেতনা কোথায়?”
নির্বাচন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, “ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সনদকেন্দ্রিক অনৈক্য থাকলেও নির্বাচনের প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব আছে সময়মতো নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক রাখা। শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়।”

