তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজা উপত্যকাকে এখন জরুরি ভিত্তিতে সুস্থ হয়ে পুনর্গঠনের পথে ফিরতে হবে। একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান হামাস–ইসরায়েল চুক্তি যেন দীর্ঘস্থায়ী শান্তির ভিত্তি গড়ে তোলে, সে জন্য তুরস্ক সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত পঞ্চম তুরস্ক–আফ্রিকা ব্যবসা ও অর্থনৈতিক ফোরাম-এ বক্তব্য দেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের অতীত আচরণ বিবেচনায় আমরা এখনো সতর্ক। গাজা এখন আরেকটি যুদ্ধ নয়, বরং আরোগ্য ও পুনর্গঠন চায়।’
এরদোয়ান জানান, ‘তুরস্ক হামাস–ইসরায়েল চুক্তিকে স্থায়ী শান্তিতে রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে।’
চলমান সুদান সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘সুদানে যে সংঘাত চলছে, তা আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করছে। আমরা আশা করি, খুব দ্রুত সেখানে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সুদানের মানবিক বিপর্যয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না। রক্তপাত বন্ধ করা আমাদের সবার মানবিক দায়িত্ব।’
এরদোয়ান পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা করে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে পশ্চিমা বিশ্ব আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ ও সংঘাতগুলোকে মহাদেশটির নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছে।’
তুরস্ক বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তায় শীর্ষ দাতাদের মধ্যে অন্যতম—বলেন এরদোয়ান। তিনি জানান, তুরস্কের নীতি হলো, ‘মানবিক বিপর্যয় যেখানেই ঘটুক, তুরস্ক সেখানে পাশে থাকবে।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, ২০০৫ সালকে তুরস্ক ‘আফ্রিকার বছর’ ঘোষণা করেছিল, যা দুই অঞ্চলের সম্পর্কে নতুন অধ্যায় খুলে দেয়।
‘গত ২০ বছরে আমরা হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হৃদয়ে হৃদয় রেখে আমাদের সম্পর্ককে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছি, যা একসময় কল্পনাতীত ছিল। এখন তুরস্ক–আফ্রিকা সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে রূপ নিয়েছে,’ বলেন এরদোয়ান।
তিনি জানান, তুরস্ক বর্তমানে আফ্রিকার ৪৪টি দেশে দূতাবাস স্থাপন করেছে এবং আগামী লক্ষ্য ৫০টি। অন্যদিকে, আঙ্কারায় ৩৮টি আফ্রিকান দূতাবাস রয়েছে।