দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী মাপের ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে হওয়া এই কম্পনের তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
এটি এমন এক সময়ে আঘাত হানলো, যখন দেশটি এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করছে।
প্রাদেশিক উদ্ধারকর্মী রালফ ক্যাডালেনা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হঠাৎ আমরা একটি শক্তিশালী ঝাঁকুনি অনুভব করি, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী ছিল না।
তিনি আরও জানান, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইউএসজিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিল সুরিগাও দেল নর্তে প্রদেশের দাপা পৌরসভার কাছাকাছি, এবং এটি ভূপৃষ্ঠের ৬৯ কিলোমিটার (৪৩ মাইল) গভীরে সংঘটিত হয়।
এর আগে দেশটির মিন্দানাও দ্বীপের পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ ও ৬ দশমিক ৭ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, যাতে কমপক্ষে আটজন নিহত হন।
এছাড়া সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে মধ্যাঞ্চলীয় সেবু প্রদেশে ৬.৯ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পে ৭৬ জন প্রাণ হারান এবং ৭২ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা ধ্বংস হয়ে যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থিত, যা জাপান থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে পুরো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত এক সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল। এই অঞ্চলে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯৭৬ সালে মিন্দানাও দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ৮ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে প্রায় ৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারান বা নিখোঁজ হন। এটি ফিলিপাইনের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত।
সূত্র: খালিজ টাইমস

