আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হেরে গেছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে আফগানরা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারের পর মেহেদি হাসান মিরাজের দলের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হার ৮১ রানের ব্যবধানে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হেরে বড় শঙ্কায় পড়ে গেছে বাংলাদেশ। এই হার শুধু সিরিজ হারই নয়, ২০২৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার পথটাকেও অনেক কঠিন করে ফেলেছে লাল-সবুজের দল।
২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেবে মোট ১৪টি দল। এর মধ্যে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ৮টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে অংশ নেবে, আর মূল পর্বে বাকি ৬টি দলকে উঠতে খেলতে হবে বাছাইপর্বে। বর্তমানে বাংলাদেশ ৭৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ম স্থানে থাকায় সেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের ওপরে ৮০ পয়েন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ৮৮ পয়েন্টে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে টপকানো প্রায় অসম্ভব হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলে শীর্ষ ৮-এ ঢোকার সুযোগ এখনো আছে বাংলাদেশের সামনে। তবে শর্ত একটাই, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে হবে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও অবশ্য কাজটা কঠিন ছিল। কিন্তু সেই সিরিজ হেরে যাওয়ায় এখন র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির সুযোগ আরও সংকুচিত হয়ে গেছে। শেষ ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসবে না, মিরাজ-লিটনরা থাকবেন ১০ম স্থানেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটি ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে টাইগারদের শেষ ওয়ানডে সিরিজ। তাই এই সিরিজেই র্যাংকিং উন্নতির শেষ সুযোগ। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে আরও ওয়ানডে খেলার সুযোগ থাকায় তারা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
তাই বাংলাদেশের সামনে এখন পরিষ্কার সমীকরণ এই যে, যদি র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ৮-এ জায়গা করে নিতে না পারে, তাহলে ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠতে হলে বাছাইপর্ব খেলতে হবে টাইগারদের।

